
শরীয়তপুরের ডামুড্যা উপজেলার ধনই গ্রামের পৈত্রিক সম্পত্তি উদ্ধার ও সাইফুল ইসলাম প্রিন্স বাহিনীর হামলা থেকে বাঁচতে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগী চার নারী। সংবাদ সম্মেলনে তারা জানায়, ওই গ্রামের বেশ কিছুদিন যাবত সাইফুল ইসলাম প্রিন্স বাহিনী রাতের আধারে তাদের বাড়ি ঘর দখলের চেষ্টা করে যাচ্ছে। এতে বাধা দেয়ার একধিকবার শরীরিক নির্যাতনের স্বীকার হয়েছেন তারা। নির্যাতনের পরে থানায় গেলে মামলা না নিয়ে পরপর দুইটি জিডি নিয়েই তাদের দায়িত্ব শেষ করছেন ডামুড্যার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা। থানার এসআইয়ের সামনেই হত্যার হুমকিসহ তাদেরকে মারধর করলেও পুলিশ প্রিন্স বাহিনী বিরুদ্ধে কোন আইনী ব্যবস্থা নিচ্ছেনা। এতে তাদের জীবন অনিরাপদ হয়ে উঠছে বলে দাবী করেন তারা। জীবনের নিরাপত্তা দিতে পুলিশের র্উ্দ্ধতণ কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তারা।
বুধবার দুপুরে শরীয়তপুর ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া জার্নালিষ্ট এসোসিশেয়ন কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এসব অভিযোগ করেন ভূক্তভোগী ওই চার নারী। পরিবারের পক্ষে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন মাহবুবা তিন্নি। এসময় তার বোন মাহমুদা মুন্নী, সৈয়দা শামীমা, নাসরিন উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলনে শরীয়তপুরের প্রিণ্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সংবাদ কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে মাহবুবা তিন্নি বলেন, আমার পিতা আলী আকবর লাল মিয়া গত বছর মৃত্যূ বরণ করেছেন। তার মৃত্যূর পরে আমরা আমাদের পারিবারিক প্রয়োজনেই জমিজমার খোজ খবর নিতে শুরু করি। এতে করে আমাদের চাচা আব্দুর রব দর্জিসহ আমাদের গিয়াতিদের সাথে জমিজমার অংশ নিয়ে সমস্য তৈরি হওয়ায় শরীয়তপুর দেওয়ানী আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আমরা মামলার রায়ের অপেক্ষায় রয়েছি। কিন্তু আব্দুর রব দর্জির ছেলে সাইফুল ইসলাম প্রিন্স কয়েক দিন পর পরই বিভিন্ন এলাকা থেকে লোজজন জড়ো করে রাতের আধারে আমাদের বাড়ি ঘর দখলের চেষ্টা করছে। দুই বার রাতে বাড়ি ঘর দখল করতে আসায় আমরা ৯৯৯ এ ফোন করে বাড়ি ঘর বেদখল হওয়া থেকে রক্ষা পেয়েছি। কিন্তু শরীরীক নির্যাতনের থেকে রেহাই পাইনি। একাধিকবার প্রিন্স তার সাঙ্গপাঙ্গদের নিয়ে আমাদের মারধর করেছে। আমার ভাই এখানো হাসপাতালে আছে। আমারা ডামুড্যা থানায় মামলা করতে গিয়েও মামলা দিতে পারিনি। পুলিশ আমাদের মামলা না নিয়ে পরপর দুই বার ডিজি করার পরামর্শ দিয়েছে। আমরা জিডি করেছি। কিন্তু পুলিশ প্রিন্সের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ তোলেন।
ডামুড্যা থানা পুলিশ অফিসার অমল রায়ের সামনে প্রিন্স আমাদের হত্যার হুমকি দিয়েছে, মারধর করেছে কিন্তু তিনি কোন ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ করেন তারা। এতে তারা মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়েছে বলে জানান। চরম নিরাপত্তাহীনতার কথা জানিয়ে পুলিশের উদ্ধার্তণ কর্মকর্তাদের সু দৃষ্টি কামনা করেছেন তারা।
ডামুড্যা থানার এসআই অমল কুমার রায় বলেন, আমরা জিডি আদালতে পাঠিয়েছি। আদালতের নির্দেশে পরিবর্তি ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। আমার বিরুদ্ধে তারা মিথ্যা অভিযোগ করছে।
ডামুড্যা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শরিফ আহম্মেদ বলেন, আমাদের কাছে ওই নারীরা যতবার এসেছে আমি তাদেরকে আইনী সহায়তা দিয়েছি। তাদের অভিযোগ সত্যি নয়।
শনি | রবি | সোম | মঙ্গল | বুধ | বৃহ | শুক্র |
---|---|---|---|---|---|---|
১ | ২ | ৩ | ৪ | |||
৫ | ৬ | ৭ | ৮ | ৯ | ১০ | ১১ |
১২ | ১৩ | ১৪ | ১৫ | ১৬ | ১৭ | ১৮ |
১৯ | ২০ | ২১ | ২২ | ২৩ | ২৪ | ২৫ |
২৬ | ২৭ | ২৮ | ২৯ | ৩০ | ৩১ |