Monday 30th June 2025
Monday 30th June 2025

ডামুড্যায় চিকিৎসকের উপর হামলার ঘটনায় আওয়ামী লীগ নেতাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে ফাঁসানোর অভিযোগ

ডামুড্যায় চিকিৎসকের উপর হামলার ঘটনায় আওয়ামী লীগ নেতাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে ফাঁসানোর অভিযোগ
ডামুড্যায় চিকিৎসকের উপর হামলার ঘটনায় আওয়ামী লীগ নেতাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে ফাঁসানোর অভিযোগ

শরীয়তপুরের ডামুড্যাতে নারী চিকিৎসক প তার পরিবারের উপর হামলার ঘটনায় আওয়ামী লীগ নেতা জুলহাস মাদবর কে মিথ্যা মামলায় দিয়ে ফাঁসানোর অভিযোগ করেছেন তার স্ত্রী উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান খাদিজা খানম লাভলী। ডামুড্যা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. নুসরাত তারিন তন্বী ও তাঁর স্বামী ডা. মঞ্জুরুল ইসলাম ভূঁইয়া তাদের মিথ্যা, বানোয়াট এবং ভিত্তিহীন বক্তব্য প্রচারের দ্বারা উপজেলা আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক জুলহাস মাদবর তাঁর পরিবার ও ল্যাবএইড ফার্মাসিউটিক্যালসের (ওষুধ কোম্পানি) মেডিকেল প্রোমোশন অফিসার শহিদুল ইসলাম মৃধাকে পারিবারিক এবং রাজনৈতিকভাবে হেও প্রতিপন্ন করার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। সোমবার দুপুরে ডামুড্যা উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানের কক্ষে এ সংবাদ সম্মেলন করা হয়।
এছাড়া রিপ্রেজেনটেটিভদের সংগঠন ‘ফারিয়া’ সদস্যরা উপজেলার চত্ত্বরে মানববন্ধন করেন। এসময় জুলহাস মাদবর , তাঁর ছেলে লিখন ও শহিদুলের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি করেন তারা।

 

সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে উপজেলা পরিষদে তার নিজ কক্ষে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ অভিযোগ করেন তিনি। অন্যদিকে একই সময়ে ওই মামলার আরেক আসামী ওষুধ কোম্পানির মেডিকেল প্রমোশন অফিসার শহিদুল ইসলাম মৃধাকে মিথ্যা মামলা থেকে অব্যাহতি দিয়ে নিঃশর্ত মুক্তির দাবীতে মানববন্ধন করেছে ডামুড্যা উপজেলা ফার্মাসিউটিক্যালস রিপ্রেজেন্টিভস এসোসিয়েশন (ফারিয়া)।

সংবাদ সম্মেলনে খাদিজা খানম বলেন, কিছুদিন ধরে ঔষধ লেখার বিনিময়ে ডামুড্যা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সহকারী সার্জন নুসরাত তারিন তন্বী তার স্বামী মঞ্জুরুল ইসলাম ভূঁইয়ার জন্য একটি মোটরসাইকেল দাবী করছিলেন ওষুধ কোম্পানির শহিদুল ইসলাম মৃধার কাছে। ওনি মোটরসাইকেল না দিলে নুসরাত তারিন তন্বীর সাথে সম্পর্কের অবনতি ঘটে। এসব বিষয় নিয়ে গত ৩১ জানুয়ারি শহিদুল ইসলাম মৃধাকে লাথি চর থাপ্পর দেন নারী চিকিৎসকের স্বামী মঞ্জুরুল ইসলাম ভূঁইয়া। মারধরের ব্যাপারে শহিদুল আমাকে জানালে আমি বিষয়টি মিমাংসা করতে আমার স্বামী জুলহাস মাদবরকে সেখানে পাঠাই। পরে রাস্তার মধ্যে তর্ক বিতর্ক হলে, আমার স্বামীকে বাসায় বসে বিষয়টি মীমাংসা করতে ডেকে নিয়ে যায় নুসরাত তারিন তন্বী ও তার স্বামী । পরে বাসার গেটের মধ্যে নিয়ে আমার স্বামীর কলার টেনে ধরে মাটিতে ফেলে মারধর করে তন্বী আর তার স্বামী মঞ্জুরুল এবং মা মাসুমা খাতুন। আমার স্বামী একজন গণ্যমান্য ব্যক্তি, ওনি কখনোই নারীর গায়ে হাত দিবে না। তারা আমাদের পরিবারকে হেয় করতে মিথ্যা মামলা দিয়ে আমার স্বামীকে ফাঁসিয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করলে ঘটনা সত্যতা উঠে আসবে।

সংবাদ সম্মেলনে ওষুধ কোম্পানির বিক্রিয় প্রতিনিধি শহিদুল ইসলাম মৃধার স্ত্রী শামীমা ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, একজন ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধির সামান্য টাকার বেতন। যে বেতন দিয়ে আমার সংসার চালিয়ে বাচ্চার দুধ কেনার টাকাও থাকে না। এরপরেও চিকিৎসক তন্বী ওষুধ লিখে দেওয়ার বিনিময়ে তার স্বামীর জন্য একটি মোটরসাইকেল দাবি করেন। আমার স্বামী তা দিতে না পারায় উল্টো তাকে মারধর করা হয়েছে। কিন্তু চিকিৎসক তন্বী আর তার স্বামী তাদের উপর যে মারধরের ঘটনা সাজিয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা।

এদিকে উপজেলা চত্বরে মানববন্ধন করে ডামুড্যা উপজেলা ফার্মাসিউটিক্যালস রিপ্রেজেন্টিভস এসোসিয়েশনের (ফারিয়া) সদস্যরা। মানববন্ধনে ডামুড্যা উপজেলা ফারিয়ার সাধারণ সম্পাদক আনিসুর রহমান বলেন, প্রথমে ল্যাবএইড ফার্মাসিউটিক্যালসের প্রতিনিধি শহিদুল ইসলামকে মারধর করেছেন নুসরাত তারিন তন্বীর স্বামী মঞ্জুরুল ইসলাম ভূঁইয়া। এজন্যই পরবর্তীতে দুজনের মধ্যে সমস্যার সৃষ্টি হয়। ঘটনার সঠিক তদন্ত করা হলে সত্যটা বের হয়ে আসবে। আমরা শহিদুল ইসলামের নিঃশর্ত মুক্তি চাই।
মনির হোসেন বলেন, রিপ্রেজেনটেটিভ শহিদুল ইসলাম হাজী আলী আজম ক্লিনিকে বসা ছিল তখন ডাঃ মনজুরুল ইসলাম রাফি স্যার রিপ্রেজেনটেটিভ শহিদুল কে বাহিরে নিয়ে লাথি ও থাপ্পড় মারেন তারপর ডাঃ তন্বী স্যার ডাঃ রাফি কে নিয়ে যান।
ওয়াসিম বলেন,বাজারের মধ্য মারামারি হচ্ছে আমি এগিয়ে দেখি ডাঃ রাফি রিপ্রেজেনটেটিভ শহিদুল কে মারধর করছে তখন ডাঃ তন্বী ম্যাডাম এসে ডাক্তার কে নিয়ে গেছেন।
জালাল বেপারী বলেন,ডাঃ তন্বী ও রাফি দারিয়ে ছিল তখন রিপ্রেজেনটেটিভ শহিদুল জুলহাস মাদবর নিয়ে আসে জুলহাস মাদবর জিজ্ঞেস তোমাদের মধ্যে কি সমস্যা হয়েছে সমাধান করো তখন শহিদুল ডাঃ রাফি কে থাপ্পড় মারে তখন জুলহাস মাদবর বলে কি করলে এটা তারপর ডাঃ রাফি রিপ্রেজেনটেটিভ শহিদুল এর মধ্যে ধাক্কাধাক্কি হয় পর ডাঃ তন্বী এসে জুলহাস মাদবর কে বলে কাকা আপনার বাড়ি উপজেলায় আমার বাড়ি শিধলকুড়া ইউনিয়ন আমরা চা খেয়ে কথা বলি একথা বলে নিয়ে যায়। এখানে জুলহাস মাদবর কোন মারামারি করে নি। সে কারও গায়ে হাত তোলে নি।
ফারুক কেরানি বলেন,ডাঃ তন্বী ও তার স্বামী ডাঃ মনজুরুল ইসলাম রাফি জুলহাস মাদবর কে চা খাওয়ার কথা বলে বাসায় নিয়ে প্রথম ডা: রাফি জুলহাস মাদবরের কলার ধরে বলে তুই আমার বউকে মারলি কেন তখন জুলহাস মাদবর বলে আমি ত মারি নাই জুলহাস মাদবর ও ডাঃ রাফির কথা ধরে পর আমি ও পল্টু তাদেরকে ছারিয়ে দেই।
নিলা বলেন,ডাঃ তন্বী ও তার স্বামী ডাঃ মনজুরুল ইসলাম রাফি জুলহাস মাদবর কে চা খাওয়ার কথা বলে বাসায় ডেকে গেটের নিয়ে মারধর করেন ডাঃ তন্বীর মা ও মারে তখন জুলহাস মাদবর একটা ঘরে গিয়ে আশ্রয় নেন।যখন ডা: তন্বী ও তার স্বামী ডাঃ রাফি ও জুলহাস মাদবর এর মধ্যে ধাক্কাধাক্কি হয় তখন ডা: তন্বীর হাতে থাকা চাবি দিয়ে আঘাত পেয়ে রক্তপাত হয়।