
এক স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে শরীয়তপুরের ডামুড্যা থানার দারুল আমান ইউনিয়ন পরিষদের এক মেম্বারের বিরুদ্ধে। ওই মেম্বার এর পূর্বেও এ ধরনের একাধিক অপরাধ করেছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এবারের ঘটনায় ওই স্কুল ছাত্রীর মা ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ এনে মেম্বার সবুজ করাতীর বিরুদ্ধে ডামুড্যা থানায় মামলা দায়ের করেছে। অভিযোগ রয়েছে আসামী প্রভাবশালী হওয়ায় বাদীপক্ষে মানিত স্বাক্ষি ও ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীদের মারধর, ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদর্শণ করছে।
মামলার এফ.আই.আর ও স্থানীয় সূত্র থেকে জানা যায়, গত ৫ আগষ্ট দুপুর দেরটার দিকে ৪৫নং ডামুড্যা হাওলাদার বাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণীর শিক্ষার্থী এক কিশোরী টিফিনের উদ্দেশ্যে বাড়ি যাচ্ছিল। উত্তর ডামুড্যা গ্রামের মৃত আমজাদ করাতীর ছেলে দারুল আমান ইউনিয়ন পরিষদ ৯ নং ওয়ার্ড মেম্বার সবুজ করাতী (৪০) ওই শিক্ষার্থীকে ডেকে আওয়াল করাতীর ঘরে নেয়। টাকার প্রলোভন দেখিয়ে ওই শিক্ষার্থীর গোপন স্থানে হাতাহাতি করে এবং সালোয়ার খুলে ধর্ষণের চেষ্টা করে। ওই স্কুল ছাত্রীর ডাক-চিৎকারে প্রতিবেশী রাজিব খানের স্ত্রী সাবিনা বেগম ও জামাল তপাদারের স্ত্রী গোলাপী বেগম আগাই আসে। তখন সবুজ করাতী পালাইয়া যায়। লম্পট সবুজ করাতী এর পূর্বেও এধরনের একাধিক ঘটনা ঘটিয়ে স্থানীয় শালিস দরবার ও জরিমানার সম্মুখিন হয়েছে। এবার মামলার আসামী হয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে।
বাদী মাকসুদা বেগম জানায়, মামলা করে আমরা বিপদে আছি। আসামী স্ত্রী নুরুন্নাহার, ভাই বাচ্চু করাতী, শানু করাতী ও নুরুল হক মামলার স্বাক্ষী সোহাগ ও মুন্নাকে গত শনিবার মারধর করেছে। আসামী এলাকায় ঘুরাঘুর করছে পুলিশ তাকে ধরছে না। এ বিষয়ে আমি পুলিশ সুপার স্যারের কাছে অভিযোগ করেছি। আমার মেয়েকে কলঙ্কিত করেছে। আমি আসামীর বিচার চাই।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে প্রথমে দারুল আমান ইউনিয়ন পরিষদে পরে আসামীর বাড়িতে যাই। কোথাও আসামীকে পাওয়া যায়নি। আসামীর স্ত্রী নুরুন্নাহার জানায়, আমার বিবাহের ১১ বছরেও আমার স্বামীর বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগ ছিল না। ২ বছর যাবৎ মেম্বার হয়েছে আর একাধিক অভিযোগ আসছে। এ সকল অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট। শত্রুতা উদ্ধারের জন্য প্রতিপক্ষ এ মিথ্যা অভিযোগ করছে।
ডামুড্যা থানার ওসি নজরুল ইসলাম বলেন, আসামী পলাতক রয়েছে। আসামী এর পূর্বেও এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। আসামীকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।