
শরীয়তপুরের গোসাইরহাট উপজেলার সামন্তসার গ্রামে একই পরিবারের ৫ জনকে কুপিয়ে জখম করেছে তার মেয়ে জামাই পক্ষের লোকজন। বৃহস্পতিবার ২৬ নভেম্বর সন্ধ্যায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সামন্তসার গ্রামের শহীদুল বেপারীর মেয়ে তানিয়াকে গত ৩ বছর আগে প্রেম করে বিয়ে করে পাশের বাড়ির মোক্তার আকনের ছোট ছেলে রাকিবুল আকন। রাকিবুলের স্ত্রী তানিয়া ৬ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হলে পড়লে গর্ভের সন্তান নষ্ট করার জন্য চাপ প্রয়োগ করে রাকিবুল আকন। এতে রাজী না হওয়ায় ক্ষিপ্ত হয় রাকিবুলের পরিবারের লোকজন।
ঘটনার দিন রাকিবুল আকন, তার পিতা মোক্তার আকন, ভাই রতন ও রতনের স্ত্রী স্বর্না মিলে তানিয়াদের বাড়িতে প্রবেশ করে মাংস কাটার চাপাতি, বটিদা ও লাঠিসোটা নিয়ে হামলা চালায়। এতে শহীদুল বেপারী, তার মা আনোয়ারা, ভাই আব্দুল আজিজ, শাহজালাল বেপারী ও তার ভাইয়ের স্ত্রী আমেনা বেগমকে কুপিয়ে জখম করেছে তারা।
গুরুতর আহত আমেনা বেগম, আব্দুল আজিজ ও শহীদুলকে গোসাইরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
তানিয়া বেগম জানান, তার স্বামী রাকিবুলসহ শ^শুর বাড়ির লোকজন কসাইয়ের (মাংস বিক্রি) ব্যবসা করেন। শ^শুর বাড়ির লোকজনের সাথে সামান্য কথা কাটাকাটি হলেই মাংস কাটার চাপাতি, বটিদা ও অন্যান্য ধারালো অস্ত্র নিয়ে বাড়িতে তেড়ে আসে তারা। এছাড়াও শ^শুর বাড়ির লোকজন ২ লাখ টাকা যৌতুক দাবী করে আসছে। এতো টাকা দিতে না পারায় আমার বাবাসহ আত্মীয়-স্বজনদের উপর হামলা করছে তারা। এ ঘটনায় শাহজালাল বেপারী বাদী হয়ে গোসাইরহাট থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে।
অভিযুক্ত রতন আকন বলেন, আমার ভাই তানিয়াকে বিয়ে করেছে কিনা তা আমরা কেউ জানি না। তবে তানিয়ার বাপ-চাচারা খুবই হারমাদ প্রকৃতির লোক। ঘটনার দিন আমাদের বাড়ি এসে হামলা চালিয়েছে। এতে আমার বাবাসহ আমিও আহত হয়েছি। আমার বাবা হাসপাতালে ভর্তি আছে। আমরাও থানায় অভিযোগ করেছি।
গোসাইরহাট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোল্লা সোহেব আলী বলেন, এ ঘটনায় উভয় পক্ষই থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। ঘটনাটি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।