মঙ্গলবার, ৩রা অক্টোবর, ২০২৩ ইং, ১৮ই আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ১৮ই রবিউল-আউয়াল, ১৪৪৫ হিজরী
মঙ্গলবার, ৩রা অক্টোবর, ২০২৩ ইং

ফেসবুকে পরিচয়, বিয়ের প্রলোভনে সংসার হারালেন গৃহবধূ, প্রেমিক কারাগারে

ফেসবুকে পরিচয়, বিয়ের প্রলোভনে সংসার হারালেন গৃহবধূ, প্রেমিক কারাগারে

ফেসবুকের মাধ্যমে পরিচয় হয়ে, তিন বছর প্রেম করে নিজ সংসার হারালেন দুই বাচ্চার মা লায়লা আক্তার (৩০) নামের এক গৃহবধু। শরীয়তপুরের জাজিরা থানাধীন গঙ্গানগর বাজার সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে। এ বিষয়ে জাজিরা থানায় মামলা হয়েছে।

মামলা ও ভূক্তভুগির পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, শরীয়তপুর জেলার জাজিরা উপজেলার মূলনা ইউনিয়নের হামগাঁও এলাকার আঃ খালেক মুন্সীর মেয়ে লায়লা আক্তার (৩০) এর সাথে একই উপজেলার চরখোরাতলা কাইয়ূম বেপারীর সাথে বিয়ে হয় প্রায় এক যুগ পূর্বে। তাদের সংসারে এগারো ও আট বছরের দুইটি ছেলে সন্তান আছে। বিভিন্ন কারণে দীর্ঘ দিন যাবৎ স্বামীর সাথে বনিবনা না থাকায় লায়লা বাবার বাড়ি বসবাস করতে থাকে। এরই মধ্যে শরীয়তপুর সদর উপজেলার ডোমসার ইউনিয়নের সুজানদোয়াল গ্রাম এলাকার লাল মিয়া ফকিরের ছেলে মোঃ রোমান ফকির (৩৪) সাথে ফেসবুকের মাধ্যমে পরিচয় হয় মেয়েটির। প্রায় তিন বছর ধরে মেয়েটির সাথে পরকীয়া করতে থাকে এবং বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তার সাথে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক করে বলে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়। গত বুধবার ২০ নভেম্বর রাতে মেয়েটির বাসায়, ছেলেটি প্রবেশ করে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হয়। পাশের রুমের ভাড়াটিয়ারা বিষয়টি দেখে তাদেরকে আটক করে। ছেলেটির পরামর্শে মেয়েটি পরেরদিন সকালে তার স্বামীকে তালাক দেয়। তালাক দেয়ার পর ছেলেটি, মেয়েটিকে বিয়ে করতে পারবে না বলে জানায়। বিষয়টি থানা পুলিশ জানতে পেরে ছেলে ও মেয়ে উভয়কে গত ২১ নভেম্বর বিকেলে পালং মডেল থানায় নিয়ে আসে ও পালং মডেল থানা থেকে জাজিরা থানায় প্রেরণের মাধ্যমে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করে ছেলেকে কোর্টে চালান করে দেয়। এ ঘটনায় মেয়ের বাবা বাদি হয়ে জাজিরায় থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।

অভিযুক্ত নোমান বলেন, লায়লার সাথে আমার ফেসবুকে পরিচয় হয়ে সম্পর্ক হয়। সেদিন আমি লায়লার সাথে দেখা করতে তার বাসায় গেলে বাড়ির লোকজন আমাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।

ভিক্টিম ফাতেমা বলেন, ফেসবুকের মাধ্যমে নোমানের সাথে আমার প্রায় তিন বছর আগে পরিচয় হয় এক পর্যায় প্রেমের সম্পর্ক ঘটে। আমাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একাধিক বার শারীরিক সম্পর্ক ঘটায়। তার কথা মতে আমি আমার স্বামীকে তালাক দেই। কিন্তু এখন সে আমাকে বিয়ে করবে না বলে জানায়।

জাজিরা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আজাহারুল ইসলাম (পিপিএম) বলেন, এ বিষয়ে বাদীর অভিযোগের ভিত্তিতে ধর্ষণ মামলা হয়েছে। আসামিকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।


error: Content is protected !!