Sunday 11th May 2025
Sunday 11th May 2025

জাজিরায় মানববন্ধন

জাজিরায় মানববন্ধন

মালিকানাধীন কৃষি ও ফসলি জমি রক্ষা করে সরকার মালিকানাধীন খালের নির্ধারিত জায়গায় খাল খননের দাবীতে মানববন্ধন করেছেন শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার পালেরচর ও বড়কান্দি ইউনিয়নে কৃষকবৃন্দ। মঙ্গলবার সকাল ১০ টায় বড়কান্দি ও পালেরচর ইউনিয়নের ২ শতাধিক কৃষক ঘন্টাব্যাপি এই মানববন্ধনে অংশগ্রহন করেন।
মানববন্ধন থেকে কৃষকরা জানায় ৮৫ খতিয়ানের কাছারিকান্দি মৌজার বি আার এস-২৬১/১ দাগে নদী শ্রেণির ৮ একর ৬০ শতাংশ জমি বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে শরীয়তপুর জেলা প্রশাসকের নামে রেকর্ড হয়। বি আর এস পর্চার মন্তব্য কলামে লেখা রয়েছে প্রকাশ পদ্মা নদী। এমনিভাবে দাইমদ্দিন হাজীর কান্দি, ঢংগীকান্দি, দড়িকান্দি, সুধন্য মন্দল কান্দি ও উমরদী মাদবর কান্দি এলাকার প্রায় ৭০ একর জমি জেলা প্রশাসকের নামে রেকর্ড রয়েছে। অথচ পানী উন্নয়ন বোর্ড খালের নির্ধারিত জায়গায় খাল খনন না করে কৃষকদের ফসলি জমি দিয়ে খাল খননের পায়তারা চালাচ্ছে। খালের নির্ধারিত জায়গায় খাল খনন না করে ফসলি জমি দিয়ে খাল খনন করলে অত্র এলাকার প্রায় ২ শতাধিক কৃষক ফসলি জমি হারিয়ে পথে বসে যাবে।
মানববন্ধন থেকে কৃষক এম এ সাত্তার, সেকান্দার মোল্যা, নুরুল হক মুন্সী, কাদির আকন, সাত্তার আকন, কামরুজ্জামান বলেন, আমরা এই এলাকার কৃষক। কৃষি কাজ করে আমাদের জীবীকা নির্বাহ হয়। আমাদের এই উর্বর জমিতে পেঁয়াজ, রসুন, কালজিরা, ধনিয়া, সরিষাসহ বিভিন্ন প্রকার ফসল উৎপাদিত হয়। প্রতি একর জমিতে ২৫০ থেকে ৩০০ মন পর্যন্ত পেঁয়াজ ও ২০০ মন পর্যন্ত রসুন উৎপাদন সম্ভব। আমাদের এই উর্বর ফসলি জমিতে খাল খননের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ড পায়তারা করছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলীরা একাধিকবার পরিমাপ করে কৃষকের রেকর্ডীয় ফসলি জমিতে সীমানা নির্ধারণ করেছেন। অথচ কৃষি বান্ধব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন কৃষি জমি নষ্ট করে কোন কিছুই করা যাবে না। আমরা জেলা প্রশাসক ও প্রধানমন্ত্রী কাছে আবেদন করছি আমাদের জীবীকার উৎস রেকর্ডীয় ফসলি জমি নষ্ট করে খাল খনন করবেন না। কৃষি ও কৃষকদের প্রয়োজনে খাল খনন করতে হলে খালের নির্ধারিত জায়গায় খাল খনন করে কৃষি জমি ও কৃষক বাঁচান। এইটাই আমাদের একমাত্র চাওয়া।