
শরীয়তপুরে জাজিরা উপজেলার পশ্চিম নাওডোবায় আসন্ন ষষ্ঠ ধাপে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রচার প্রচারনাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় হামলায় বসতভিটা ভাংচুর ও ৫ জন আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
রবিবার (২৩ জানুয়ারি ) প্রচার প্রচারনাকে কেন্দ্র করে জমাদ্দার স্টেশনে প্রতিপক্ষের হামলায় নাসির উদ্দীন জমাদ্দারের অত্যন্ত ৫ জন গুরুত্বর আহত হয়েছেন। আহতরা হলেন, আনিস ঢালী, রনি বেপারী, জাহিদ ঢালী, রফিক আকন, ছালাম চোকদার। এদের তিন জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। বাকি দুজন আনিস ঢালী ও জাহিদ ঢালীকে জাজিরা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করা হয়েছে, এদের ভেতর জাহিদ ঢালীর চোখে মারাত্মক জখম হওয়ায় তাকে ঢাকা মেডিক্যলে প্রেরন করা হয়েছে। এইঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
আহত আনিস ঢালী বলেন, চেয়ারম্যান প্রার্থী আলমগীর ঢালীর নির্দেশে সন্ত্রাসীরা সংঘবদ্ধ হয়ে এই হামলা করে। আমি এই হামলার বিচার কামনা করছি।
চেয়ারম্যান প্রার্থী নাসির জমাদ্দার বলেন, আমি শান্তিপূন্ন নির্বাচন করছি, কিন্তু শুরু থেকেই আলমগীর ঢালী আমার লোকজনকে নানান ভাবে হুমকি দিয়ে আসছে।
সকালে জমাদ্দার স্টেশনে একটি দোকানে টেলিফোন মার্কার সমর্থন ভোটারদের সাথে ভোট প্রার্থনা করছিলেন চেয়ারম্যান প্রার্থী নাসির জমাদ্দার এর প্রাধান নির্বাচন পরিচালক আনিস ঢালী সহ তার লোক প্রচার প্রচারনায় জনসংযোগ করছিলেন।
এসময় প্রতিপক্ষ চেরম্যান প্রার্থী আলমগীর ঢালীর ঘোরা মার্কার সমর্থক মোতাহার ঢালী, মানিক ঢালী, মিজান ঢালী, শাহিন শেখ, বকুল শেখ, নাহিদ ঢালী নাদিম ঢালী, সেলিম ঢালী, বিপ্লব ঢালী, তামিম ঢালী, সহ ১৫- থেকে ২০ জন মিলে আনিস ঢালীর উপর অতর্কিত হামলা ও জাহিদ ঢালীর বতভিটায় হামলা চালায়।
এই বিষয়ে প্রার্থী আলমগীর ঢালীর সাথে মুঠোফোনে কথা বললে তিনি বলেন, আমি শরীয়তপুর একটা কাজে বিজি আছি।
এদিকে ঘটনায় জাজিরা থানার অফিসার ইন্চার্জ মোঃ মাহাবুবুর রহমান বলেন, নির্বাচন কে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের পালটা পালটি অভিযোগ পেয়েছি, ঘটনা স্থলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনা হয়েছে। যারা এই হামলার ঘটনা ঘটিয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।