Monday 30th June 2025
Monday 30th June 2025

জাজিরার ফেদুল্লা বেপারীকান্দি নদীতে সেতু নেই, ঝুঁকি নিয়ে ৩০০ মিটার বাঁশের সাঁকো পারাপার

জাজিরার ফেদুল্লা বেপারীকান্দি নদীতে সেতু নেই, ঝুঁকি নিয়ে ৩০০ মিটার বাঁশের সাঁকো পারাপার
জাজিরার ফেদুল্লা বেপারীকান্দি নদীতে সেতু নেই, ঝুঁকি নিয়ে ৩০০ মিটার বাঁশের সাঁকো পারাপার

শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার ফেদুল্লা বেপারীকান্দি নদীতে সেতু নেই। ফলে ৩৫ হাজার মানুষ ঝুঁকিপূর্ণ ৩০০ মিটার বাঁশের সাঁকো দিয়ে চলাচল করছেন। দীর্ঘদিনের বাঁশের সাঁকোটি পচে যাওয়ায় চলাচল করা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ।

স্থানীয়রা জানান, তারা ছোটবেলা থেকেই এই ঝুঁকিপূর্ণ সাঁকো দিয়ে চলাচল করছেন। সেতু না থাকায় অনেক দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে তাদের।

একই এলাকার বাসিন্দা আবুল কালাম বেপারী বলেন, ‘সারাদেশে উন্নয়ন হচ্ছে, কিন্তু আমরা পূর্বপাড়ের ৫০ হাজার মানুষ পদ্মা সেতুর সুফল ভোগ করতে পারছি না। আমরা একটি সেতুর অভাবে এখনো বিচ্ছিন্ন দ্বীপেই রয়ে গেছি।’

স্থানীয় ইউপি মেম্বার আব্দুল মান্নান চৌকিদার বলেন, ‘সেতু না থাকায় আমাদের অনেক দুর্ভোগ। অনেক সময় দেখা যায় নদী পারাপারের আগেই পথে রোগী মারা যায়। গন্তব্যে পৌঁছাতে অনেক সময় লাগে।’

বাঁশের সাঁকোটি নির্মাণ করেছেন খেয়া ঘাটের মাঝি মন্টু মিয়া। তিনি বলেন, ‘মানুষ নৌকার আশায় অনেক সময় নদীর পাড়ে বসে থাকে। ঝড়বৃষ্টির মধ্যে যাতায়াতে তাদের ভীষণ কষ্ট হয়। তাই নদীর ওপারের মানুষদের রাত বিরাতে যাতায়াতের কথা চিন্তা করে তিন বছর আগে স্থানীয়দের কাছ থেকে সাহায্য উঠিয়ে বাঁশের সাঁকোটি তৈরি করি।’

এলজিইডি জাজিরা উপজেলা প্রকৌশলী ইমন মোল্লা বলেন, ‘ওই জায়গায় একটি সেতু নির্মাণের জন্য দীর্ঘদিন ধরে আমরা ও এলজিইডি কর্তৃপক্ষ চেষ্টা করছি। ২০২১ সালে সেতুটির ডিজাইন তৈরি করার পর যখন আমরা ফিল্ডে কাজ করতে যাই তখন দেখা যায়, সেতুর উচ্চতা বিআইডব্লিউটিএ থেকে যতটুকু নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে তার সঙ্গে সংযোগ সড়কটি আমরা মেলাতে পারছি না। এতে বাজারের দোকানগুলো মাটির নিচে পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দেয়। পরে ডিজাইন পরিবর্তন করে নতুন একটি ডিজাইন করা হচ্ছে। ডিজাইন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে ওখানে সেতু তৈরির কাজ শুরু করা হবে।’