
র্যাব-৮, সিপিসি-৩ মাদারীপুর ক্যাম্পের একটি বিশেষ আভিযানিক দল অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম এর নেতৃত্বে পংকজ চন্দ্র দেবনাথ, শরীয়তপুর জেলার জাজিরা থানার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিষ্ট্রেট এবং বিশ্বজিৎ বৈরাগী জেলা মৎস অফিসার শরীয়তপুর এর উপস্থিতিতে ১৯ অক্টোবর শুক্রবার শরীয়তপুর জেলার জাজিরা থানাধীন পদ্মা নদীতে মা ইলিশ আহরণ বিরোধী মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন।
অভিযান পরিচালনাকালে আনুমানিক সকাল ৭ টা ৩০ মিনিটে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায় যে, শরীয়তপুর জেলার জাজিরা থানাধীন বানেরচর, বড়কান্দি, বাবুরচর, শিধারচর, কুন্ডেরচর এবং মালিরঘাট এলাকায় কিছু অসাধু জেলে সরকার কর্তৃক নিষিদ্ধ মা ইলিশ মাছ ক্রয়, বিক্রয় এবং ধরার উদ্দেশ্যে অপেক্ষা করছে। প্রাপ্ত সংবাদের ভিত্তিতে আভিযানিক দলটি সকাল ৮ টা থেকে বিকাল ৫ টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত অভিযান পরিচালনা করেন এবং ৫৪ জন জেলেকে মাছ ধরার ট্রলার, বিপুল পরিমাণ মা ইলিশ এবং কারেন্টজাল সহ আটক করেন।
জিজ্ঞাসাবাদে জেলেরা স্বীকার করে যে, তারা সরকার কর্তৃক নিষিদ্ধ মা ইলিশ মাছ ক্রয়, বিক্রয়, ধরার সাথে জড়িত এবং তাদের নিকট মা ইলিশ মাছ এবং কারেন্ট জাল রক্ষিত আছে। পরবর্তীতে ধৃত আসামীদের স্বীকারোক্তি মোতাবেক স্থানীয় জনসাধারণের উপস্থিতিতে জেলেদের মাছ ধরার ট্রলার তল্লাশি করে সর্বমোট ৪ হাজার কেজি মা ইলিশ মাছ এবং ৫০ লক্ষ মিটার কারেন্ট জাল উদ্ধার করেন এবং বিভিন্ন নৌকা সাময়িকভাবে নষ্ট করা হয়। সরকার কর্তৃক নিষিদ্ধ মা ইলিশ মাছ ক্রয়, বিক্রয় এবং ধরার অপরাধে সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট কর্তৃক মৎস্য দন্ডবিধি ১৮৮ ধারা অনুযায়ী ধৃত আসামীদের ৪৮ জনকে ১০ দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড, ৩ জনকে ৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড, ২ জনকে ৭ দিন বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন এবং ১ জনকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
পরবর্তীতে সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্র্যেট এর সম্মুখে উদ্ধারকৃত মাছ মাদ্রাসা ও ইয়াতীম খানায় বিতরন করেন। উদ্ধারকৃত কারেন্ট জাল নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্র্যেট এর উপস্থিতিতে জন সম্মুখে ধ্বংস করা হয় এবং স্পিডবোট সমূহ জব্দ করা হয়।