
নড়িয়া উপজেলার কলুকাঠি গ্রামের মৃত রতন সরদারের পুত্র আ. মজিদ সরদার (৩১) কে দুই মাসেরও বেশী সময় ধরে খুঁজে পাওয়া যায় না। সন্তানের সন্ধান চেয়ে থানায় জিডি করে কোন সুবিধা পায়নি মা সাহিদা বেগম। পরবর্তীতে আদালতে মামলা করছেন সাহিদা বেগম। নড়িয়া থানা পুলিশ মামলাটি তদন্ত করছে। দুই মাসেও মামলার কোন আসামী গ্রেফতার না হওয়ায় স্বজনদের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
তাই নিখোঁজ মজিদের সন্ধান চেয়ে সোমবার ২ জানুয়ারী দুপুরে শরীয়তপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন করেছে মামলার বাদীসহ এলাকাবাসী। এছাড়া সুষ্ঠু বিচার চেয়ে জেলা প্রশাসক বরাবর একটি স্মারকলিপি প্রদান করেন মা শাহিদা বেগম। মানববন্ধন থেকে চাকধ গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা হাজী জলিলের স্ত্রী ফিরোজা বেগম, কলুকাঠি গ্রামের কাশেম সরদারের স্ত্রী মিনু বেগম ও চাচা বাবুল ফকির বলেন, মজিদের মা মানুষের বাড়ি বাড়ি কাজ করে সন্তানদের নিয়ে জীবন যাপন করত। ছোট থেকেই মজিদ পন্ডিতসার বাজারে শাজাহান খন্দকারের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে কর্মচারী হিসেবে কাজ করত। দীর্ঘদিনে মজিদ শাজাহান খন্দকার ও তার পরিবারের কাছে বিশ্বস্ত হয়ে ওঠে। বিষয়টি শাহাজাহান খন্দকারের ছেলে সুমন খন্দকার মেনে নিতে পারেনি। আমাদের ধারণা তাই পরিকল্পিত ভাবে মজিদকে অপহরণ পরবর্তী হত্যা করে লাশ গুম করেছে। মজিদের মা ও বোনেরা সারাক্ষণ কান্নাকাটি করে। গরীব মানুষ বলে কি তারা কোন বিচার পাবে না। আমরা প্রশাসনের কাছে সঠিক তদন্ত ও ন্যায় বিচার দাবী করছি।
মামলার বাদী সাহিদা বেগম মানববন্ধন স্থলে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। সেখানে তিনি বলেন, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আমার কাছ থেকে টিপসই নেয়। তারা নাকি আমার মামলা তদন্ত করবে না। উল্টো হুমকি দিচ্ছে এই বলে যে, ৩০ লক্ষ টাকা নিয়ে আসেন, তাহলে ছেলেকে খুজে এনে দিব। অপর দিকে মামলার আসামী সুমন খন্দকার মামলা তুলে নিতে চাপ সৃষ্টি করতেছে। আমি অসহায় হয়ে পড়েছি। গরীব বলে কি ন্যায় বিচার পাওয়ার অধিকার আমাদের নাই। আজ মানববন্ধন শেষে ন্যায় বিচার পাওয়ার জন্য জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদন করেছি।
#