
শরীয়তপুর জেলার ৫০টি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ ঈদুল ফিতর উদযাপন করছেন। সৌদি আরবসহ এশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যের দেশের সঙ্গে মিল রেখে তারা প্রতি বছর ঈদ পালন করে থাকেন।
বুধবার (১০ এপ্রিল) শরীয়তপুরের সবচেয়ে বড় ঈদুল ফিতরের জামাত অনুষ্ঠিত হয় নড়িয়া উপজেলার সুরেশ্বর দরবার শরিফে। তাদের ভক্ত ও আশেকানদের সুবিধার্থে দুটি জামাত হয়। প্রথমটি সকাল ১০টায় এবং দ্বিতীয়টি সকাল সাড়ে ১০টা ৩০ মিনিটে অনুষ্ঠিত হয়। সকাল ১০টার ঈদের প্রথম নামাজের মধ্য দিয়ে ঈদের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়।
ডামুড্যা হতে নামাজ আদায় করতে আসা ভক্ত ও মুসল্লি ইসহাক সিকদার কানু দৈনিক রুদ্রবার্তা’কে বলেন, গত ত্রিশ বছর ধরে সুরেশ্বর দরবারে ঈদের নামাজ আদায় করতে এসেছি। যতদিন বেঁচে থাকবো ততদিন পর্যন্ত আসব। এখানে আসলে আমরা আত্মিক প্রশান্তি অনুভব করি।
সুরেশ্বর দরবার শরিফের গদিনশিন পীর সৈয়দ শাহ নূরে কামাল দৈনিক রুদ্রবার্তা’কে বলেন, প্রতিবছর আমরা চাঁদের হিসাব ও সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে বাংলাদেশের একদিন আগে রোজা রাখি এবং সেই সঙ্গে ঈদও উদযাপন করে থাকি।
তিনি বলেন, আমার পূর্বপুরুষ থেকেই এ নিয়ম চালু হয়ে আসছে এবং বংশ পরম্পরায় আমাদের এ নিয়ম চলমান থাকবে। নামাজ শেষে দুরুদ ও মিলাদ শরিফ পাঠ করে দোয়া ও মোনাজাত করি।
দোয়া ও মোনাজাতের শেষে সব মুসল্লিদের তেহারি ও সেমাই খাওয়ানো হয়।