
শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার ঘড়িসার ইউনিয়নে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতির ছেলে লালল হাওলাদারের নের্তৃত্বে সিংহলমুড়ি বঙ্গবন্ধু স্মৃতি সংসদ নামে আওয়ামী লীগ ক্লাব ভাংচুর করার অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে নড়িয়া উপজেলার ঘড়িসার ইউনিয়নের সিংহলমুড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় জরিতদের শাস্তির দাবী করেছে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও এলাকাবাসী।
স্থানীয় ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ঘড়িসার ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি এসকেন্দার হাওলাদারের ছেলে লালল হাওলাদারের (২০) সঙ্গে একই ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের সিংহলমুড়ি গ্রামের তানভীরের সঙ্গে সকালে ঘরিসার বাজারে কবুতর বিক্রি করা নিয়ে বাক বিতন্ডা হয়। একপর্যায়ে দুজনের সঙ্গে হাতাহাতি হয়। পরে বাজারের ব্যবসায়ীরা মিমাংসা করে দেয়।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে লালন হাওলাদার ক্ষিপ্ত হয়ে দুপুরে ৫০/৬০ জন লোক নিয়ে সিংহলমুড়ি বঙ্গবন্ধু স্মৃতি সংসদ নামে আওয়ামী লীগ ক্লাব ভাংচুর করে।
মো. আবু বকর ছৈয়ালসহ এলাকার অনেকেই বলেন, দুপুরে হঠাৎ করে লালন হাওলাদারের নের্তৃত্বে আজমীর হাওলাদারসহ ৫০/৬০ জন লোক দেশীয় অস্ত্র নিয়ে এসে আওয়ামী লীগ ক্লাবটি কোপায় এবং ভিতরে থাকা চেয়ার ভাংচুর ও বঙ্গবন্ধু, প্রধানমন্ত্রী ও উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীমের সম্বলিত ব্যানার ছিড়ে ফেলে।
লালল হাওলাদারের বাবা ঘড়িসার ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি এসকেন্দার হাওলাদার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সিংহলমুড়ী ও নন্দনসার গ্রামের ছেলেরা ঝগড়া হয়। পরে ক্লাব ভাংচুর করেছে। তবে আমার ছেলে লালন ক্লাব কোপায় নাই। ঘটনাস্থলে পরে গেছে।
ঘড়িসার ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি এমএ আকবর হাওলাদার বলেন, এগুলো নিন্দনিয় কাজ। যারা বঙ্গবন্ধু, প্রধানমন্ত্রী ও উপমন্ত্রীর সম্বলিত ব্যানার ছিড়ে ফেলেছে ও আওয়ামী লীগের ক্লাবটি ভাংচুর করেছে তাদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করছি।
নড়িয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম মঞ্জুরুল হক আকন্দ বলেন, ঘটনাটি আমি সন্ধ্যায় শুনেছি ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছিলাম।