
র্যাবের মহা পরিচালক বেনজীর আহমেদ বি.পি.এম (বার) বলেছেন, মাদক মানুষকে ধ্বংস করে। যে পরিবারে একজন মাদক সেবন করে, সে পুরো পরিবারকে ধ্বংস করে। মাদক ব্যবসায়ীরা যঘন্য নরকের কিট। তাদের রাষ্ট্র ও সমাজে দরকার নাই। সকলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে মাদকের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে হবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের ৮০ লাখ মানুষ মাদক সেবন করে। এর মধ্যে ১০ ভাগ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। মাদক শিক্ষার্থীদের মেধা, বিকাশ সব কিছু নষ্ট করে দেয়। তাই মাদক থেকে দুরে থাকতে হবে। মাদক সেবিদের ভালো পথে আনতে হবে। সকলে মাদক ব্যবসায়ীদের ধ্বংস করতে হবে।
বেনজীর আহমেদ বলেন, জঙ্গিবাদরা পথভ্রষ্ট। জঙ্গিবাদরা ইসলামের শত্রু। একজন মুসলমান কিভাবে খুন, জখম, রক্তপাত করে। ইসলাম ধর্মের নাম করে জঙ্গিবাদরা বিভিন্ন ধরনের ষড়যন্ত্র করছে। ইসলাম ধর্ম শান্তির ধর্ম। এদেশে জঙ্গিবাদের কোন স্থান নেই। বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নের্তৃত্বে জঙ্গি মুক্ত করেছি।
তিনি বলেন, আমি বিদেশে গিয়েছিলাম। যারা নড়িয়ার মানুষ বিদেশে আছে তাদের সাথে কথা বলেছি। তারা আমাকে পেয়ে নড়িয়ার ভাঙনের কথা বলে কেঁদে দিয়েছে। আমি দেশে এসে প্রধানমন্ত্রীকে বিষয়টি অবহিত করেছি। নড়িয়া ভাঙন কবলিত মানুষের জন্য প্রধানমন্ত্রীর ভালোবাসা আছে। তাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নড়িয়া ভাঙন রোধে সব ধরনের সাহায্য সহযোগিতা করছেন।
বেনজির আহমেদ বলেন, বাংলাদেশর জাতীয় প্রবৃদ্ধী ৭ দশমিক ৫ ভাগ। পদ্মা সেতু সম্পূর্ণ হলে ৯ভাগ হবে। আগামী দুই তিন বছরের মধ্যে হবে ১২ ভাগ। আর ৫ থেকে ৭ বছরের পর হবে দ্বিগুন। প্রধানমন্ত্রী নের্তৃত্বে আগামী ৪১ সালে বাংলাদেশ উন্নত ও ধনীর দেশ হবে।
১৬ ফেব্রুয়ারী শনিবার বেলা সোয়া ১২টার দিকে শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার নশাসন ইউনিয়নে অবস্থিত ডগ্রী ইসমাইল হোসেন স্কুল অ্যান্ড কলেজের রজত জয়ন্তী অনুষ্ঠানে এসে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, পানি সম্পদ উপমন্ত্রী একেএম এনামূল হক শামীম। পানি সম্পদ মন্ত্রনালয়ের উপমন্ত্রী একেএম এনামূল হক শামীম বলেছেন, ঐক্যবদ্ধ থাকলে পৃথিবীর কোন শক্তি নেই আওয়ামী লীগকে পরাজিত করতে পারে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে।
তিনি আরও বলেন, আমরা শেখ হাসিনার কর্মী। পদ্মা সেতু হয়ে গেলে শরীয়তপুর হবে দেশের সেরা দশটি জেলার একটি। আমরা শান্তির নড়িয়া প্রতিষ্ঠিত করতে চাই। নিজেদের মধ্যে আর মারামারি কাটাকাটি চাইনা, কোন দ্বন্দ্ব গ্রুপিং দেখতে চাইনা। যারা মারামারি কাটাকটি করে তাদের আওয়ামী লীগ করার সুযোগ নেই।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, শরীয়তপুর জেলা প্রশাসক কাজী আবু তাহের, পুলিশ সুপার আব্দুল মোমেন, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছাবেদুর রহমান খোকা সিকদার, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অনল কুমার দে।
ডগ্রী ইসমাইল হোসেন স্কুল অ্যান্ড কলেজের গভার্নিং বডির সভাপতি হাজী মো. শফিকুল ইসলাম সোহেলের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন, নড়িয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার (অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত) মো. মাহাবুর রহমান শেখ, জেলা শিক্ষা অফিসার শ্যামল চন্দ্র শর্মা ও নড়িয়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার গোলাম ফারুক, ডগ্রী ইসমাইল হোসেন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ দেলোয়ার হোসেন তালুকদারসহ উক্ত স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা উপস্থিত ছিলেন।
শনি | রবি | সোম | মঙ্গল | বুধ | বৃহ | শুক্র |
---|---|---|---|---|---|---|
১ | ২ | ৩ | ৪ | |||
৫ | ৬ | ৭ | ৮ | ৯ | ১০ | ১১ |
১২ | ১৩ | ১৪ | ১৫ | ১৬ | ১৭ | ১৮ |
১৯ | ২০ | ২১ | ২২ | ২৩ | ২৪ | ২৫ |
২৬ | ২৭ | ২৮ | ২৯ | ৩০ | ৩১ |