
শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলায় নিখোঁজের সাতদিন পর বোরহান বেপারী (৩০) নামে এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে উপজেলার ঘড়িসার ইউনিয়নের বারৈপাড়া এলাকার একটি ডোবা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। বোরহান বেপারী উপজেলার ঘড়িসার ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের বারৈপাড়া গ্রামের মৃত সামসুল হক বেপারীর ছেলে। তিনি ঘড়িসার বাজারের একটি ওয়ার্কসপের দোকানের কর্মচারি। গত জানুয়ারিতে বিয়ে করেছেন তিনি।
পুলিশ ও পরিবার সূত্র জানায়, গত শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) বিকেলে নড়িয়া উপজেলার ঘড়িসার ইউনিয়নের হালইসার গ্রামে শশুর বাড়ি স্ত্রীকে আনতে বাড়ি থেকে বের হন বোরহান। সেই থেকে নিখোঁজ হন তিনি। পরিবার ও আত্মীয় স্বজন খোঁজাখুঁজির পরও তাকে পায়নি। বুধবার সকাল থেকে মরদেহ পঁচা গন্ধ বারৈপাড়া এলাকায় ছড়িয়ে পরে। গন্ধ কোথা থেকে আসে খুঁজে পাচ্ছিল না এলাকাবাসী। পরে বৃহস্পতিবার সকালে গ্রামের মতি লাকরিয়ার একটি ডোবায় এলাকাবাসী মরহেদটি দেখতে পেয়ে নড়িয়া থানা পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ এসে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বোরহানের মরদেহটি উদ্ধার করে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
নিহত বোরহানের বড় ভাই লাল মিয়া বেপারী জানান, গত শুক্রবার বিকেলে স্ত্রী শিল্পী আক্তারকে আনতে বের হয় বোরহান। পরে আর খোঁজ মিলেনি তার। আজ পাওয়া গেল বোরহানের মরদেহ।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (নড়িয়া সার্কেল) কামরুল হাসান বলেন, এলাকাবাসী একটি লাশ দেখে পুলিশকে জানায়। পরে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে। সাতদিনে লাশ গলে পঁচে গেছে। লাশের সাথে মোবাইল ও জুতা দেখে পরিবার সনাক্ত করেছে এটা বোরহানের লাশ।