মাদারীপুরের শিবচরে ডাকাতি শেষে পালানোর সময় গণপিটুনিতে একজন নিহত হয়েছে। এ সময় গণপিটুনিতে একজন আহত হয়। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আহত ব্যক্তিকে উদ্ধার করে শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছে। এছাড়া স্থানীয়রা আরও ২ ডাকাতকে আটক করে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে।

পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার ভোরে জেলার শিবচর উপজেলার বাঁশকান্দি ইউনিয়নের বাজিতপুর এলাকায় সাবেক সচিব আব্দুল হাকিমের ভাই আব্দুল হালিমের বাড়িতে ৫ জনের একটি ডাকাত দল প্রথমে হানা দেয়। এ সময় বাড়ির লোকজন চিৎকার শুরু করলে ডাকাত দলটি পালিয়ে গিয়ে একই এলাকার ভ্যানচালক দেলোয়ার হাওলাদারের বাড়িতে হানা দিয়ে তুষার হাওলাদারকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে আহত করে মালামাল লুট করে। এ সময় স্থানীয়রা ধাওয়া দিয়ে ডাকাত দলের সদস্য মির্জন খালাসী (৪২) ও হাসমত বেপারীকে (৪৩) আটক করে গলধোলাই দেয়।

খবর পেয়ে শিবচর থানা পুলিশের এসআই গোলজার হোসেনসহ পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে গুরুতর আহত অবস্থায় ২ জনকে উদ্ধার করে শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মির্জন খালাসীকে মৃত ঘোষণা করেন। মির্জন খালাসী শিবচর উপজেলার সম্ভুক এলাকার মৃত আবু আলী খালাসীর ছেলে।

এদিকে, সকালে সন্দেহজনক চলাফেরা করায় সাগর হাওলাদার (২৮) ও মোস্তফা কামালকে (৬৫) আটক করে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে স্থানীয়রা। হাসপাতালে আহত হাসমত বলেন, এই প্রথম গেছিলাম অটো চুরি করতে। আমরা ৫ জন ছিলাম। জেলখানায় ওদের সাথে পরিচয়।

শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিক্যাল অফিসার ডা. মাইনুল ইসলাম বলেন, ভোরে দুজনকে হাসপাতালে আনা হয়। এর মধ্যে হাসপাতালে আনার আগেই একজনের মৃত্যু হয়েছে।

বাশকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান খোকন বলেন, মির্জন এর আগেও ডাকাতি করেছে বলে জেনেছি। তার বিরুদ্ধে আগেও মামলা আছে।

শিবচর থানার এসআই গুলজার হোসেন বলেন, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে দুজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে আনি। এর মধ্যে একজনের মৃত্যু হয়েছে। অপরজন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। সকালে স্থানীয়দের সহায়তায় আরও দুজনকে আটক করা হয়েছে।