Tuesday 1st July 2025
Tuesday 1st July 2025

ডামুড্যার ধানোকাটি ইউনিয়নে ভুয়া প্রকল্পের নামে বরাদ্দ তোলার চেষ্টা!

ডামুড্যার ধানোকাটি ইউনিয়নে ভুয়া প্রকল্পের নামে বরাদ্দ তোলার চেষ্টা!

শরীয়তপুর জেলা জেলাধীন ডামুড্যা উপজেলার ধানোকাটি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের যুগ্ন-সাধারণ সম্পাদক মোঃ শাহজাহান মাদবর তার নিজ গ্রাম মডের কান্দি ক্যাডেট মাদ্রাসার মাঠ মাটি দ্বারা উন্নয়ন নামে একটি ভুয়া প্রকল্পের নামে স্থানীয় সংসদ সদস্য’র কাছ থেকে ৪৪ হাজার টাকার বরাদ্দ এনেছেন। আর এই নামের কোনো অস্তিত্ব নেই ধানোকাটি ইউনিয়নের মডের কান্দি গ্রামে।
সরেজমিন ঘুরে স্থানীয়দের কাছে জানা যায়, জেলার ডামুড্যা উপজেলার ধানোকাটি ইউনিয়ন যুগ্ন-সাধারণ সম্পাদক মোঃ শাহজাহান মাদবর তার নিজ গ্রাম মডের কান্দি ক্যাডেট মাদ্রাসার মাঠ মাটি দ্বারা উন্নয়ন নামে একটি ভুয়া প্রকল্পের নাম দেন স্থানীয় সংসদ সদস্য নাহিম রাজ্জাকের কাছে। সংসদ সদস্য নামের তালিকা পেয়ে মডের কান্দি ক্যাডেট মাদ্রাসার মাঠ মাটি দ্বারা উন্নয়ন নামে ৪৪ হাজার টাকার বরাদ্দ দিয়েছে। ঐ প্রকল্পের নামে টাকা বরাদ্দের খবর পেয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার বরাবর মডের কান্দি ক্যাডেট মাদ্রাসার মাঠ মাটি দ্বারা উন্নয়ন নামে ধানোকাটি ইউনিয়ন যুগ্ন-সাধারণ সম্পাদক মোঃ শাহজাহান মাদবর সভাপতি হয়ে ৫ সদস্যের একটি কমিটি জমা দেন। সংসদ সদস্যের বরাদ্দের নামের তালিকা ও মাদ্রাসার কমিটি পেয়ে বরাদ্দের চেক প্রস্তুত করেন ডামুড্যা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা। এর আগে আরো এক বার এই প্রকল্পের নামে ৪০ হাজার টাকা উত্তোলন করেছিলেন শাহজাহান মাদবর।
এ বিষয়ে ধানোকাটি ইউপির ৪-৫-৬নং সংরক্ষিত মহিলা মেম্বার, মডের কান্দি গ্রামের নিপা আক্তার, আব্দুর রশিদ বেপারী, কামাল হোসেন বলেন, ধানোকাটি ইউনিয়নে মডের কান্দি ক্যাডেট মাদ্রাসার নামে কোনো মাদ্রাসা নাই।
ধানোকাটি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের যুগ্ন-সাধারণ সম্পাদক মোঃ শাহজাহান মাদবর বলেন, মডের কান্দি ক্যাডেট মাদ্রাসার নামে জমি রয়েছে। এই জমি ভরাট করার জন্য এমপি সাহেবের কাছ থেকে ৪৪ হাজার টাকা বরাদ্দ এনেছি। প্রকল্প কর্মকর্তা বলেছে কাজ করার পরে টাকা দেবেন। এর আগেও এই মাদ্রাসার নামে ৪০ হজার টাকা পেয়েছি। তা দিয়ে কিছু মাটি কেটে ভরাট করা হয়েছে।
ডামুড্যা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোস্তফা কামাল বলেন, মডের কান্দি ক্যাডেট মাদ্রাসার মাঠ মাটি দ্বারা উন্নয়ন নামে সংসদ সদস্যের বরাদ্দের নামের তালিকা একটি নাম পেয়েছি ও মাদ্রাসার বরাদ্দের কমিটি পেয়ে বরাদ্দের চেকও প্রস্তুত করেছিলাম। এই নামের বিরুদ্ধে অভিযোগ আসায় চেক বিতরণ করিনি। শাহজাহান মাদবরকে বলেছি কাজ করবেন তার পরে আমরা গিয়ে দেখার পরে চেক পাবেন।