
“নিজ আঙ্গিনা পরিষ্কার রাখি, সবাই মিলে সুস্থ থাকি” এই শ্লোগানে শরীয়তপুর পৌর এলাকায় মশক নিধন ও পরিচ্ছন্নতা কর্মসূচির ক্রাশ প্রোগ্রাম শুরু হয়েছে। শরীয়তপুর পৌরসভার আয়োজনে শনিবার (৩ আগষ্ট) সকাল ১০টায় শরীয়তপুর সদর হাসপাতাল চত্ত্বরে মশক নিধন ক্রাশ প্রোগ্রাম উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক কাজী আবু তাহের।
এ সময় পৌরসভার মেয়র রফিকুল ইসলাম কোতোয়াল, বিভিল সার্জন ডা. খলিলুর রহমান, সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. শেখ আব্দুল্লাহ, পৌর কাউন্সিলর হারুন অর রশিদ, আলমগীর মৃধা, সঞ্জিব নাগ, ইমু আক্তার সহ পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন। এর আগে জেলা শিল্পকলা একাডেমী চত্ত্বর থেকে ডেঙ্গু প্রতিরোধে একটি সচেতনতামূলক র্যালি বের করা হয়। র্যালিতে জেলা প্রশাসক কাজী আবু তাহের, সিভিল সার্জন ডা. খলিলুর রহমান, পৌর মেয়র রফিকুল ইসলাম কোতোয়াল প্রমূখ অংশগ্রহন করেন। মশক নিধন ক্রাশ প্রোগ্রাম উদ্বোধন শেষে জেলা প্রশাসক কাজী আবু তাহের সদর হাসপাতাল পরিদর্শন করেন এবং চিকিৎসাধীন ডেঙ্গু রোগীর খোঁজখবর নেন। এ সময় ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীরা যাতে সঠিক চিকিৎসা সেবা পান সে ব্যাপারে চিকিৎসকদের প্রতি নির্দেশনা দেন জেলা প্রশাসক কাজী আবু তাহের।
শরীয়তপুর পৌরসভার মেয়র রফিকুল ইসলাম কোতোয়াল বলেন, আমাদের পৌরসভায় মশক নিধন কার্যক্রম সব সময়ই ছিলে। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মন্ত্রী পরিষদ নির্দেশ আশায় আমরা নতুন করে শরীয়তপুর পৌরসভাকে ডেঙ্গু মুক্ত করার লক্ষ্যে মশক নিধন ও পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা কর্মসূচির ক্রাশ প্রোগ্রাম আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু করেছি। যতদিন পর্যন্ত এ কর্মসূচি বন্ধ করার নির্দেশ না আসবে এবং যতদিন পর্যন্ত মশা নিধন না হবে ততদিন পর্যন্ত আমাদের কর্মসূচি চলমান থাকবে।
সিভিল সার্জন ডা. খলিলুর রহমান বলেন, ডেঙ্গু রোগ আগেও ছিলো এখন আছে। এখন একটু বেশি আকার ধারণ করেছে। আমরা প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ অনুযায়ী ডেঙ্গু মোকাবেলায় সর্বাত্তক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। ডেঙ্গু নিয়ে আতংক হওয়ার কিছু নেই। এ ব্যাপারে সবাইকে সচেতন হতে হবে।
জেলা প্রশাসক কাজী আবু তাহের বলেন, ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মন্ত্রী পরিষদ থেকে ডেঙ্গু মোকাবেলায় সারাদেশে পৌরসভাগুলোতে একযোাগে মশক নিধন অভিযান ও পরিচ্ছন্নতা কর্মসুচি গ্রহণ করতে বলা হয়েছে। তারই অংশ হিসেবে আজকে শরীয়তপুর পৌরসভার উদ্যোগে মশক নিধন ও পরিচ্ছন্নতা কর্মসূচির ক্রাশ প্রেগ্রাম উদ্বোধন করেছি। যতদিন পর্যন্ত ডেঙ্গু মশা জিরো টলারেন্সে না আসবে ততদিন পর্যন্ত এই কর্মসূচি চলবে। আতংকিত না হয়ে এ ব্যাপারে সবাইকে সচেতন হতে হবে। সবাইকে একযোগে ডেঙ্গু মোকাবেলায় কাজ করতে হবে। যার যার বাড়ি ও অফিসের আঙ্গিনা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। তিনদিনের বেশি কোথাও পানি জমিয়ে রাখা যাবে না। এভাবে আমরা সবাই মিলে সচেতন হলে ডেঙ্গু মোকাবেলা সম্ভব হবে।
শনি | রবি | সোম | মঙ্গল | বুধ | বৃহ | শুক্র |
---|---|---|---|---|---|---|
১ | ২ | ৩ | ৪ | |||
৫ | ৬ | ৭ | ৮ | ৯ | ১০ | ১১ |
১২ | ১৩ | ১৪ | ১৫ | ১৬ | ১৭ | ১৮ |
১৯ | ২০ | ২১ | ২২ | ২৩ | ২৪ | ২৫ |
২৬ | ২৭ | ২৮ | ২৯ | ৩০ | ৩১ |