
শরীয়তপুরের ডামুড্যা ও গোসাইরহাটে প্রশাসনের অবহেলায় ড্রেজার ব্যবসায়ীরা দিন দিন বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। দলিয় প্রভাব খাটিয়ে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে কৃষি জমি থেকে প্রতিদিন অসংখ্য বালু মাটি উত্তোলন করছে। এত ওই সব এলাকায় প্রায় ১০টি গ্রামের ঘরবাড়ি ও ফসলি জমি হুমকির মুখে পড়েছে। ভুক্তভোগীরা বালু উত্তোলন বন্ধে স্থানীয় প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট সবার কঠোর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জেলার গোসাইরহাট উপজেলার নাগেরপাড়া এলাকার যুবলীগ পরিচয়দানকারী তানিম ঢালীর নেতৃত্বে গোসাইরহাট উপজেলার নাগেরপাড়া ও ডামুড্যা উপজেলার ধানোকাটি ইউনিয়নের চরপাতালিয়া বাজার থেকে একটু সামনে সামসু শিকদারের বাড়ির এলাকায় কৃষি জমির মধ্যে ৩-৪টি ড্রেজার মেশিন বসিয়ে দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে বালু মাটি উত্তোলন করছে। বালু মাটি বিক্রি করে লাভবান হলেও এলাকার ফসলি জমি, হুমকির মুখে পড়েছে। এতে কৃষি জমির ভাঙন অব্যাহত রয়েছে।
ধানোকাটি ইউনিয়নের চরপাতালিয়া গ্রামের কয়েকজন বলেন, বালু দস্যুরা এলাকার প্রভাবশালী হওয়ায় কেউ তাদের বাধা দেয়ার সাহস করে না। এরা ড্রেজার মেশিন বসিয়ে কৃষি জমি ও খাল থেকে বালু উত্তোলন করছে। এতে দুইটি ইউনিয়নের শত শত বিঘা আবাদি জমি ভাঙনের মুখে পড়েছে।
চরপাতালিয় গ্রামের বিল্লাল নামের একজন জানায় তানিম ঢালি একাধিক ড্রেজার সাইড আছে, তিনি চরপাতালিয়া এলাকার সামসু শিকদারের বাড়িতে ৫-৬ দিন যাবৎ ড্রেজার দিয়ে মাটি ভরাট করতেছে এবং এখানে আরও ৫-৬ দিন ফসলি জমির মাটি কেটে বাড়ি ভরাট করবে।
এ বিষয়ে বালু উত্তোলনকারী তানিম ঢালী বলেন, আমি একাতো ড্রেজার চালাইনা আরো অনেকেই চালায়। এ কারণে আমিও ড্রেজার চালাই। অন্য ড্রেজার ব্যবসায়ীরা এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
ডামুড্যা উপজেলা ভুমি কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, শিগগিরই অবৈধ ড্রেজার দিয়ে কৃষি জমি থেকে বালু মাটি উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
শনি | রবি | সোম | মঙ্গল | বুধ | বৃহ | শুক্র |
---|---|---|---|---|---|---|
১ | ২ | ৩ | ৪ | |||
৫ | ৬ | ৭ | ৮ | ৯ | ১০ | ১১ |
১২ | ১৩ | ১৪ | ১৫ | ১৬ | ১৭ | ১৮ |
১৯ | ২০ | ২১ | ২২ | ২৩ | ২৪ | ২৫ |
২৬ | ২৭ | ২৮ | ২৯ | ৩০ | ৩১ |