
ভগ্নিপতির মাধ্যমে সৌদী প্রবাসে গিয়ে প্রতারিত হয়ে দেশে ফিরেছেন শ্যালক। ১১ মাসের মাথায় অনাহারে ও নির্যাতিত হয়ে দেশে ফিরে ভগ্নিপতির কাছে টাকা ফেরত চাওয়ায় আবার মামলার আসামীও হয়েছে শ্যালক। আদালতে মামলার হাজিরা দিতে গিয়ে ভগ্নিপতির ভাড়াটে সন্ত্রাসীর দ্বারা হুমকি ধমকির শিকার হতে হয় শ্যালককে। একাধিক দরবার শালিশ করেও কোন সমাধান পায়নি ভুক্তভোগী পরিবার।
মামলার আরজি ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শরীয়তপুর পৌরসভার উত্তর আটং গ্রামের মৃত রোস্তম আলী সরদারের পুত্র কামাল হোসেন তার বোন রহিমা বেগমের স্বামী পৌরসভার শান্তিনগর এলাকার মিয়াচান শেখের মাধ্যমে চাকুরি ও ভাল বেতন পাওয়ার প্রত্যাশায় ৬ লাখ টাকার বিনিময়ে সৌদি প্রবাসে যায়। সৌদি প্রবাসে গিয়ে ভাল বেতন বা ভাল চাকরি তো দূরে থাক কোম্পানীর সন্ধানও পায়নি কামাল হোসেন। সৌদিতে থাকা মিয়াচান শেখের পুত্র কাদির শেখও কামালকে কোন সহায়তা করে নাই। দীর্ঘ প্রায় ১১ মাস মানবেতর জীবন যাপন করে দেশে ফিরে কামাল হোসেন। দেশে ফিরে কামাল হোসেন তার ভগ্নিপতির কাছে বিদেশ যাওয়া বাবদ যে টাকা প্রদান করেছে তা ফেরত দাবী করে। এই কারনে কামালের বোন ও ভগ্নিপতি বাদী হয়ে কামালের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা থানায় সাধারণ ডাইরী করে। কামাল হোসেন আদালতে হাজিরা দিতে এলে মিয়াচান শেখ তার ভাড়াটে সন্ত্রাসী দিয়ে কামাল হোসেন কে হুমকি দিয়ে থাকেন বলেও জানা যায়।
প্রতারনায় শিকার কামাল হোসেন বলেন, আমি দেশে বেকার থাকি তাই আমাকে সৌদি পাঠানোর প্রস্তাব করেন ভগ্নিপতি মিয়াচান শেখ। তার সৌদি প্রবাসী ছেলে ভাল ভিসা দিবেও বলে। আমি জানি মিয়াচান শেখের পুত্র কাদির শেখ সৌদিতে ব্যবসা করে। আমি তার কথায় বিশ্বাস করে ধার-দেনা ও জমি বিক্রি করে টাকা দেই। আমাকে সৌদি পাঠায় কিন্তু কোন কাজ বা কাগজপত্র করে দেয় না। তখন আমি নিজের জীবন বাঁচাতে পালিয়ে কাজকর্ম করি। ১১ মাস পরে আমি পুলিশে ধরা পরি। পরে পুলিশ আমাকে দেশে পাঠিয়ে দেয়। প্রবাসে থাকা ১১ মাসের মধ্যে আমার স্ত্রী-সন্তান বা আত্মীয় স্বজনের সাথে কোন যোগাযোগ রাখতে পারি নাই। দেশে ফিরে টাকা ফেরত চাওয়ায় আমার বোন ও ভগ্নিপতি আমার নামে সাজানো ও মিথ্যা মামলা করতে থাকে। আমি এমনিতেই আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি এখন আমার বিরুদ্ধে মামলা দিচ্ছে। আমি প্রশাসনের কাছে ন্যায় বিচার প্রত্যাশা করছি।
অভিযুক্ত ভগ্নিপতি মিয়াচান শেখ বলেন, আমি, আমার স্ত্রী, মেয়ে ও ছেলে মিলে আমার শ্যালক কামালকে সৌদি আরব যাওয়ার জন্য ৬ বারে ৪ লাখ ৯০ হাজার টাকা ধার দেই। শর্ত ছিল সৌদি গিয়ে কাজ করে টাকা ফেরত দিবে। সে সৌদি যায় এবং কাজ কর্ম করে দেশে ফিরে। কিন্তু আমার টাকা পরিশোধ করে নাই। তাই টাকা আদায়ের জন্য মামলা করেছি। আমি কামালকে সৌদি পাঠাই নাই। আমার জানামতে ভুচুড়া গ্রামের ইউনুস সরদারের ছেলে সৌদি প্রবাসী জামাল সরদারের পাঠানো ভিসায় কামাল সরদার সৌদি আরব যায়। আমি কামালকে কোন হুমকি দেই না। বরং কামাল আমার স্ত্রীকে মারধর করেছে। আমাকে ভয় দেখায়।
শনি | রবি | সোম | মঙ্গল | বুধ | বৃহ | শুক্র |
---|---|---|---|---|---|---|
১ | ২ | ৩ | ৪ | |||
৫ | ৬ | ৭ | ৮ | ৯ | ১০ | ১১ |
১২ | ১৩ | ১৪ | ১৫ | ১৬ | ১৭ | ১৮ |
১৯ | ২০ | ২১ | ২২ | ২৩ | ২৪ | ২৫ |
২৬ | ২৭ | ২৮ | ২৯ | ৩০ | ৩১ |