Tuesday 1st July 2025
Tuesday 1st July 2025

শরীয়তপুরে কীর্তিনাশা নদী রক্ষায় ৩১৯.৩২ কোটি টাকা বরাদ্দ

শরীয়তপুরে কীর্তিনাশা নদী রক্ষায় ৩১৯.৩২ কোটি টাকা বরাদ্দ
শরীয়তপুরে কীর্তিনাশা নদী রক্ষায় ৩১৯.৩২ কোটি টাকা বরাদ্দ

শরীয়তপুরে কীর্তিনাশা নদীর ডান ও বাম তীর রক্ষা প্রকল্প বাস্তবায়নে ৩১৯.৩২ কোটি টাকা বরাদ্দের অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এতে দীর্ঘ ৫০ বছর ধরে শরীয়তপুরের নড়িয়া থেকে সদর উপজেলার আংগারিয়া ও মাদারীপুরের কালকিনি পযর্ন্ত ৩০ কিলোমিটার কীর্তিনাশা নদীর দু’পাশে ১৫ টি এলাকায় প্রায় ১২ কিলোমিটার জায়গা জুড়ে যে ভাঙ্গন অব্যাহত ছিল তা সমাধানে নতুনমাত্রা যোগ হচ্ছে বলে স্থানীয়রা অভিমত ব্যক্ত করেছেন।

বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার শুরুতেই শরীয়তপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য পানি সম্পদ উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম নড়িয়ায় ৫০ বছরের নদী ভাঙ্গনরোধসহ শরীয়তপুরের বিভিন্ন এলাকায় ভাঙ্গনরোধে মেগা প্রকল্প গ্রহণ করেছেন। আর তা বাস্তবায়নের দিকে আগিয়ে যাচ্ছে বর্তমান সরকার।

মঙ্গলবার একনেক সভায় ৩১৯.৩২ কোটি টাকা ব্যয়ে কীর্তিনাশা নদীর ডান ও বাম তীর রক্ষা প্রকল্পের অনুমোদন দেয়ায় ভাঙ্গন কবলিত এলাকার মানুষের মনে স্বস্তি ফিরেছে। শরীয়তপুরের কীর্তিনাশা নদীর দু’পাশের ভাঙ্গন কবলিত এলাকার হাজার হাজার মানুষ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ ও তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। ইতোমধ্যে ১ হাজার ৪শ’ ১৭ কোটি টাকা ব্যয়ে পদ্মার ডান তীর রক্ষা প্রকল্প বাস্তবায়িত হওয়ায় এ বছর নড়িয়াতে একটি বাড়িও নদী গর্ভে বিলীন হয়নি। নদী ভাঙ্গনরোধে এসব উন্নয়নমূলক পদক্ষেপে শরীয়তপুরবাসীর নিকট পানি সম্পদ উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীমের জনপ্রিয়তা বেড়েছে বহুগুণ। পানি সম্পদ উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশের বিভিন্ন স্থানে নদী ভাঙ্গনরোধে বড় বড় মেগা প্রকল্প গ্রহণ করেছেন। আগামীতে ডেল্টাপ্লান-২১০০ বাস্তবায়িত হলে সারাদেশে স্থায়ীভাবে নদী ভাঙ্গনরোধ সম্ভব হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম।

শরীয়তপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য ইকবাল হোসেন অপুর প্রচেষ্টায় এবং পানি সম্পদ উপমন্ত্রীর উদ্যোগে অবশেষে কীর্তিনাশা নদীর ভাঙ্গন থেকে রক্ষা পেতে যাচ্ছে শরীয়তপুরের মানুষ।

শরীয়তপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আহসান হাবীব দৈনিক রুদ্রবার্তাকে বলেন, কীর্তিনাশা নদীর ডান ও বাম তীর রক্ষা প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে প্রায় ১২ কিলোমিটার দীর্ঘ নদীর দু’পাশে ১৫টি এলাকায় ভাঙ্গন প্রতিরোধ হবে এবং এসব এলাকায় মানুষ নিরাপদে বসবাস করতে পারবে।