
শরীয়তপুর সদর উপজেলার চিতলিয়া ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচন স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
সোমবার ০৮ নভেম্বর দুপুরে ইসির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার উপসচিব আতিয়ার রহমান এ সংক্রান্ত চিঠিতে স্বাক্ষর করেছেন। মোবাইল ফোনে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. জাহিদ হাসান।
মো: জাহিদ হাসান বলেন, নির্বাচন স্থগিত হওয়ার খবর কমিশনের উপসচিব মহোদয় মোবাইল ফোনে আমাকে জানিয়েছেন। এখনো চিঠি হাতে পাইনি, আগামীকাল পাব। বিষয়টি রিটার্নিং কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে।
চিতলিয়া ইউনিয়নের ৯টি ওয়ার্ডের সদস্য ও ৩টি সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে পছন্দের লোকদের বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত করার জন্য অন্য প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের স্বাক্ষর জাল করে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের আবেদন করার অভিযোগ ওঠে আওয়ামী লীগের (নৌকা) চেয়ারম্যান প্রার্থী হারুন অর রশিদের বিরুদ্ধে।
এরপরই নির্বাচন কমিশন সচিবালয় থেকে একটি তদন্ত কমিটি করা হয়। পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা ছিল। নির্বাচন কমিশনের যুগ্ম সচিব (আইন) মো. মাহাবুবার রহমান ও কমিশনের জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব মো. আবু ইব্রাবীম গত ৩ নভেম্বর ও ৪ নভেম্বর শরীয়তপুরে তদন্তকাজ শেষ করেন। তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন জমা দেওয়ার পর ইসি আজ এমন সিদ্ধান্ত দেন।
জেলা নির্বাচন কার্যালয় সূত্র জানায়, চিতলিয়া ইউপিতে ১১ নভেম্বর ভোট হওয়ার কথা ছিল। ওই ইউপিতে ৪৮ প্রার্থী সদস্য পদে এবং ১২ জন সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন এবং তাঁদের মনোনয়ন বৈধ বলে গণ্য হয়েছিল। এর মধ্যে ৩৯ জন সাধারণ সদস্য ও ৯ জন সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে তাঁদের মনোনয়নপত্র গত ২৬ অক্টোবর প্রত্যাহার করে নেন। অথচ গত ২৭ অক্টোবর প্রতীক বরাদ্দের দিন রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে কমপক্ষে ২০ জন প্রার্থীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তাঁরা কেউ মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের আবেদন করেননি।
গত ৩০ অক্টোবর এমপি স্যার বলেছেন, চিতলিয়া ইউনিয়নে নির্বাচন হবে না’ শিরোনামে বিভিন্ন সংবাদ পত্রিকায় প্রকাশ হয়।
শনি | রবি | সোম | মঙ্গল | বুধ | বৃহ | শুক্র |
---|---|---|---|---|---|---|
১ | ২ | ৩ | ৪ | |||
৫ | ৬ | ৭ | ৮ | ৯ | ১০ | ১১ |
১২ | ১৩ | ১৪ | ১৫ | ১৬ | ১৭ | ১৮ |
১৯ | ২০ | ২১ | ২২ | ২৩ | ২৪ | ২৫ |
২৬ | ২৭ | ২৮ | ২৯ | ৩০ | ৩১ |