
গৃহহীন ও ভূমিহীন পরিবারদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর উপহার প্রকল্প মামলার কারণে আটকে গেছে। শরীয়তপুর সদর উপজেলার চিতলিয়ায় মামলা নিস্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত প্রকল্পটি বন্ধ থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
জানাগেছে, আরএস ও এসএ রেকর্ড মূলে ১২ নং চিতলিয়া মৌজার ২০৪৯ নং দাগের ৪৫ শতাংশ জমির মালিক সাকুলি সরদার। বিআরএস রেকর্ডে জমিটি খাস খতিয়ানে চলে যয়। খাস জমির দখলদারদের পক্ষে মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম সরদার প্রথমে আদালতে বিআরএস রেকর্ড সংশোধন ঘোষণা মামলা করে। মামলা নিস্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত নালিশী জমিতে স্থিতিশীল অবস্থা বহাল রাখার অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা প্রদান করেন। আদালতের আদেশ অমান্য করে ঠিকাদার ঘর নির্মাণ করতে যায়। সেখান থেকে নির্মাণ সামগ্রী, মোবাইল চুরি ও মারধরের অভিযোগ এনে সিরাজ সরদার গংদের বিরুদ্ধে পালং থানায় মামলা করে ঠিকাদার। অপর দিকে চিতলিয়া ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা আব্দুস সাত্তার বাদি হয়ে একই আসামীদের বিরুদ্ধে সরকারী কাজে বাঁধা প্রদানের অভিযোগ এনে আরো একটি মামলা করে। উভয় পক্ষে মামলার কারণে বন্ধ হয়ে গেছে গৃহহীন ও ভূমিহীনদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর উপহার প্রকল্প।
মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম জানায়, ১৯৬৯ সাল থেকে সেই জমিতে তারা ভোগ দখলে আছেন। বিআরএম রেকর্ডে জমিটি খাস খতিয়ানে চলে যায়। রেকর্ড সংশোধনের জন্য শরীয়তপুর সদর সহকারী জজ আদালতে দেওয়ানী ৮৬০/২০২১ নং মামলা দায়ের করেন। সেই জমিতে ভূমিহীনদের জন্য ঘর নির্মাণ করতে এসে আদালত অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা প্রদান করেন। বিবাদী পক্ষ জেলা জজ আদালতে বদলী মিস মামলা করে ভেদরগঞ্জ আদালতে মামলাটি বদলী করে নেয়। সেই আদালতে বিচারক পূর্ববর্তী আদালতের অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আদেশ বাতিল করে। আমরা পুনরায় জেলা জজ আদালতে মিস আপিল মামলা করলে ভেদরগঞ্জ আদালতের আদেশ স্থগিত করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতে বদলী করেন। এই অবস্থায় ঠিকাদার জোর করে জমিতে ঘর নির্মাণ করতে গেলে পুলিশ বাঁধা দেয়। পুলিশের বাঁধা উপেক্ষা করে ঠিকাদার তরিঘরি করে কাজ করতে চাইলে আমরা কাজ করতে নিষেধ করি। এই কারণে চুরি ও সরকারী কাজে বাঁধা দেওয়ার অভিযোগে দুইটি মামলার আসামী হয়েছি। তবুও আশাবাদী আদালত আমাদের ন্যায় বিচার দিবেন।
চিতলিয়া ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা আব্দুস সাত্তার মিয়া বলেন, এসএ ও বিআরএস রেকর্ডে জমিটি খাস খতিয়ানে আছে। সেই জমিতে গৃহহীনদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর উপহার উপহার ঘর নির্মাণ কাজ শুরু করি। তখন দখলদাররা আদালতে মামলা করে নিষেধাজ্ঞার আদেশ নিয়ে আসে। আমরা আদালতে আবেদন করে সেই আদেশ বাতিল করাইয়া কাজ শুরু করি। পরে দখলদাররা আবার মিস আপীল করে নিষেধাজ্ঞার আদেশ বহাল রাখে। তখন লোকজন নিয়ে এসে ঠিকাদার ও শ্রমিকদের উপর হামলা করে। তাই সরকারী কাজে বাঁধা দেওয়ার অভিযোগে থানায় মামরা করেছি।
বাদী পক্ষের আইনজীবী এডভোকেট মেহেদী হামিদী বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভূমি ও গৃহহীনদের জন্য আবাসনের ব্যবস্থা করেছেন। নিঃসন্দেহে এইটা ভালো কাজ। এই কাজ বাস্তবায়ন করতে কাউকে গৃহহীন করতেতো বলেন নাই। তবে আমরা আদালতে মামলা করেছি। আশা করছি ন্যায় বিচার পাবো।
সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মনদীপ ঘরাই বলেন, চিতলিয়া গৃহায়ন প্রকল্প নিয়ে একটা ঝামেলা হয়েছে। কাজে বাঁধা দিয়ে ভাঙ্গচুর করেছে। মামলা চলমান আছে। এখন কাজ বন্ধ।
শনি | রবি | সোম | মঙ্গল | বুধ | বৃহ | শুক্র |
---|---|---|---|---|---|---|
১ | ২ | ৩ | ৪ | |||
৫ | ৬ | ৭ | ৮ | ৯ | ১০ | ১১ |
১২ | ১৩ | ১৪ | ১৫ | ১৬ | ১৭ | ১৮ |
১৯ | ২০ | ২১ | ২২ | ২৩ | ২৪ | ২৫ |
২৬ | ২৭ | ২৮ | ২৯ | ৩০ | ৩১ |