
পদ্মা সেতু চালু হলে দেশের বড় বড় কোম্পানি এমনকি বিআরটিসি ঢাকা টু শরীয়তপুর বাস সার্ভিস চালু করতে পারেন। এজন্য ইতিমধ্যে তারা শত শত কোটি টাকা বিনিয়োগ করছেন বলে বিভিন্ন মিডিয়ায় খবর এসেছে। আর এই খবরে মাথায় হাত পড়েছে শরীয়তপুর জেলা বাস মালিক সমিতির। জেলার বাইরের কোন কোম্পানি শরীয়তপুরে বাস সার্ভিস চালু করলে আর্থিকভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হবেন এ জেলার মানুষ। এ বিষয়টি চিন্তা করে শরীয়তপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য ইকবাল হোসেন অপুর দাবি, যাতে অন্য জেলার বাস শরীয়তপুরে ঢোকার পারমিশন না দেওয়া হয়। রোববার (১৯ জুন) জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত জেলা উন্নয়ন সমন্বয় সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখার সময় তিনি জেলা প্রশাসকের কাছে এ দাবি করেন।
সাংসদ ইকবাল হোসেন অপু বলেন, শরীয়তপুর জেলা একটি অনুন্নত অবহেলিত জেলা। আর এই জেলার অধিকাংশ মানুষ দরিদ্র। শরীয়তপুর জেলায় হাইওয়ে বা ভালো কোন সড়ক না থাকায় এ জেলার বাস মালিকরা আর্থিকভাবে তেমন লাভবান হতে পারেননি। তারা আশায় ছিলেন পদ্মা সেতু চালু হলে শরীয়তপুর টু ঢাকা বাস সার্ভিস চালু করে পদ্মা সেতুর সুফল ভোগ করবেন। কিন্তু ইতিমধ্যে শোনা যাচ্ছে জেলার বাইরের বড় বড় কোম্পানি শরীয়তপুরে বাস সার্ভিস চালু করতে শত শত কোটি টাকা বিনিয়োগ করছে। বাইরের কোম্পানি শরীয়তপুরে বাস সার্ভিস চালু করলে ক্ষতিগ্রস্ত হবে শরীয়তপুর, ক্ষতিগ্রস্ত হবে শরীয়তপুরের মানুষ। তাই অন্য কোন জেলার বাস শরীয়তপুরে ঢোকার অনুমতি যাতে না দেওয়া হয়, জেলা প্রশাসকের কাছে আমি সে দাবি জানাই।
জবাবে অন্য জেলার বাস শরীয়তপুরে ঢোকার পারমিশন দেওয়া হবেনা বলে সাংসদকে আশ্বস্ত করেন জেলা প্রশাসক পারভেজ হাসান।
এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শরীয়তপুর-২ আসনের সাংসদ সদস্য ও পানিসম্পদ উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম ও বিশেষ অতিথি ছিলেন শরীয়তপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য নাহিম রাজ্জাক।
এছাড়া অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. সাইফুর রহমান, সিভিল সার্জন ডা. আব্দুল্লাহ আল মুরাদ, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী মো. শামীম হোসেন, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক অনল কুমার দে, শরীয়তপুর পৌরসভার মেয়র এডভোকেট পারভেজ রহমান জন, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক গোলাম রসুল, জেলা এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শাজাহান ফরাজি, সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী ভূইয়া রেদওয়ানুর রহমান, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মনদীপ ঘরাই, জাজিরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কামরুলের হাসান সোহেল, নড়িয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রাশেদ উজ্জামান, ভেদরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন, ডামুড্যা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাছিবা খান, গোসাইরহাট উপজেলা সুজন দাশ গুপ্ত, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী এসএম আহসান হাবীব সহ বিভিন্ন দপ্তর প্রধানগন সভায় উপস্থিত ছিলেন।
শনি | রবি | সোম | মঙ্গল | বুধ | বৃহ | শুক্র |
---|---|---|---|---|---|---|
১ | ২ | ৩ | ৪ | |||
৫ | ৬ | ৭ | ৮ | ৯ | ১০ | ১১ |
১২ | ১৩ | ১৪ | ১৫ | ১৬ | ১৭ | ১৮ |
১৯ | ২০ | ২১ | ২২ | ২৩ | ২৪ | ২৫ |
২৬ | ২৭ | ২৮ | ২৯ | ৩০ | ৩১ |