Tuesday 1st July 2025
Tuesday 1st July 2025

নারীকে মারধরের পর কক্ষে তালাবদ্ধ করে রাখার অভিযোগ

নারীকে মারধরের পর কক্ষে তালাবদ্ধ করে রাখার অভিযোগ
নারীকে মারধরের পর কক্ষে তালাবদ্ধ করে রাখার অভিযোগ

পারিবারিক বিরোধের জেরে বকুলা বেগম (৪২) নামের এক নারীকে মারধরের পর একটি কক্ষে সাড়ে ছয়ঘন্টা তালাবদ্ধ করে রাখার অভিযোগ উঠেছে শরীয়তপুরের গোসাইরহাটে। এঘটনায় শুক্রবার ১৪ অক্টোবর দুপুরে গোসাইরহাট থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন বকুলার ছেলে রাকিব হোসেন ব্যাপারী।

এর আগে গত বুধবার রাতে উপজেলার নলমুড়ি ইউনিয়নের চর ভূয়াই গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহত বকুলা বেগম ওই গ্রামের হাতেম ব্যাপারীর স্ত্রী।

আহত বকুলা বেগম ও অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার নলমুড়ি ইউনিয়নের চর ভূয়াই গ্রামের আব্দুল মান্নান ব্যাপারীর সঙ্গে হাতেম ব্যাপারীর দীর্ঘদিন যাবত পারিবারিকভাবে বিরোধ চলে আসছিল। সম্প্রতি অভিযুক্ত আব্দুল মান্নানের ছেলে তারেক ব্যাপারী কোন এক মেয়ের সঙ্গে প্রেম করে ওই মেয়ের স্বর্ণালংকার ও টাকা নিয়ে পালিয়ে যায় তারেক। কিন্তু এঘটনায় বকুলা বেগমের স্বামী হাতেম ব্যাপারীকে দোষারোপ করছেন আব্দুল মান্নান।

তাই গত বুধবার রাতে বকুলা বেগমের স্বামীকে দোষারোপ করছে কেন? এ ব্যাপারে আব্দুল মান্নানের বাড়িতে গিয়ে জিজ্ঞেস করতে যায় বকুলা।
একপর্যায়ে বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পরলে আব্দুল মান্নান ব্যাপারী (৬৫), ইমন ব্যাপারী (৩৫), মোমিন ব্যাপারী (৩২) ও সাইফুল ব্যাপারী (২৮) মিলে বকুলা বেগমকে বেধরক মারধর করে তাদের একটি কক্ষে তালাবদ্ধ করে দেয়। রাত সাড়ে ৮টা থেকে রাত ৩টা পর্যন্ত তালাবদ্ধ করে রাখে বকুলাকে। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে গোসাইরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। তাঁর অবস্থা আশংকাজনক।

বকুলা বেগমের ছেলে রাকিব হোসেন ব্যাপারী বলেন, আমার মাকে একলা পেয়ে আব্দুল মান্নান, ইমন, মোমিন ও সাইফুল মারধর করেছে। মা হাসপাতালে ভর্তি। তাই বিচার পেতে আমি থানায় অভিযোগ করেছি। এখন বিভিন্ন মাধ্যমে আমাদের হুমকি দিচ্ছে। আমি এঘটনায় জড়িতদের বিচার চাই।

এদিকে অভিযুক্ত আব্দুল মান্নান ব্যাপারী ও তাঁর লোকজনের সঙ্গে যোগাযোগ করতে চাইলে তাদের পাওয়া যায়নি। তারা পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।
গোসাইরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম সিকদার বলেন, আমি ছুটিতে রয়েছি। বিষয়টি আমার জানা নেই। বিষয়টি জেনে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।