
শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার মানাখানে দৃষ্টি প্রতিবন্ধি আবুল কাশেম দেওয়ান ও তার পরিবার ষাট বছর ধরে পৈত্রিক বাড়িতে বসবাস করে আসছে। ইতোমধ্যে শরীয়তপুর জেলা পরিষদ পূনর্বাসন প্রকল্পের আওতায় এনে প্রতিবন্ধি আবুল কাশেমকে ২ লাখ টাকা সহায়তা প্রদান করেন। সেই জমিতে গৃহ নির্মাণ কাজ শুরু করলে বাধা দেওয়াসহ ভুয়া দলিলের মাধ্যমে বসত ভিটা দখলের চেষ্টা করে আসছেন একটি প্রভাবশালী মহল। আইনী সহায়তা চেয়ে জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন করেছেন প্রতিবন্ধি আবুল কাশেম।
কাশেমের লিখিত আবেদনে বলা হয়েছে, ১৯৬৩ সাল থেকে এই বাড়িতে তাদের বসবাস। ১৯৯০ সালে একই এলাকার ইসমাইল খান, সাগর ও পারভেজ সেই বাড়ির মালিকানা দাবী করে। সেই সময় ভূমখাড়া ইউপি চেয়ারম্যান মতিউর রহমান মকিমসহ ইউপি সদস্য ও স্থানীয়রা জমি পরিমাপ করে আলাদা সীমানা পিলার স্থাপন করে দেয়। সেই থেকে শান্তিপূর্ণ ভোগ দখলে রয়েছে প্রতিবন্ধির পরিবার। বর্তমানে সরকারি অনুদানের টাকায় নতুন ঘর নির্মাণ কাজ শুরু করলে ইসমাইল খানরা একটি ভূয়া দলিল উপস্থাপন করে জমির মালিকানা দাবী করে।
আবুল কাশেম বলেন, আমার বাড়ি ৯৪ নং মানাখান মৌজার বিআরএস ৪৬৬ নং খতিয়ানের ৬০২, ৬০৪ ও ৬০৫ নং দাগে। ইসমাইল খান যে দলিলের ভিত্তিতে জমির মালিকানা দাবী করে তা ৫২ নং মগর মৌজার ৫৪১ নং খতিয়ানের বিআরএস ৩১২ দাগের। যাহা বর্তমানে পঞ্চপল্লি গুরুরাম উচ্চ বিদ্যালয়। ইসমাইল খানের দাবী ভিত্তিহীন জেনেও আমাকে হয়রানী করে আসছে। আমি ও আমার পরিবার সবসময় আতঙ্কে থাকি। আইনী সহযোগিতা না পেলে পরিবার নিয়ে আমাকে পথে বসতে হবে। আবেদনের কপি প্রধানমন্ত্রী, ভূমি মন্ত্রী, পুলিশ সুপার ও র্যাবকে দিয়েছি।
এই বিষয়ে ইসমাইল খান বলেন, আমি স্ট্যাম্প ও দলিলের মাধ্যমে এই জমি ক্রয় করেছি। দলিল আদালতে আছে তাই দেখাতে পারব না। আমি কারো জমি জোর করে খেতে চাই না।
শনি | রবি | সোম | মঙ্গল | বুধ | বৃহ | শুক্র |
---|---|---|---|---|---|---|
১ | ২ | ৩ | ৪ | |||
৫ | ৬ | ৭ | ৮ | ৯ | ১০ | ১১ |
১২ | ১৩ | ১৪ | ১৫ | ১৬ | ১৭ | ১৮ |
১৯ | ২০ | ২১ | ২২ | ২৩ | ২৪ | ২৫ |
২৬ | ২৭ | ২৮ | ২৯ | ৩০ | ৩১ |