
বাংলাদেশ এখনো শত্রুমুক্ত হয় নি। দেশে এখনো আগুন সন্ত্রাসীরা রয়েছে। স্বাধীনতা বিরোধীরা মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আমাদের উপর আক্রমণ করার জন্য উদ্যত হয়েছে। তবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাংলাদেশে স্বাধীনতা বিরোধীরা, আগুন সন্ত্রাসীরা এবং দেশ বিরোধীরা কখনো জায়গা পাবে না বলে মন্তব্য করেছেন নৌ পরিবহণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) দুপুরে শরীয়তপুরের গোসাইরহাট উপজেলার দাসের জঙ্গল বাজারে গোসাইরহাট পট্টি নদী বন্দরের উদ্বোধন শেষে সুধি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যকালে এ মন্তব্য করেন তিনি।
এসময় তিনি বলেন, দেশরত্ন শেখ হাসিনা দেশ পরিচালনা করছেন। তিনি বলেছেন প্রধানমন্ত্রীত্বই বড় কথা নয়, আমি মুজিব কন্যা এটাই হচ্ছে আমার কাছে সবচেয়ে বড় বিষয়। তিনি বাংলার মানুষের জন্য টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া, রূপসা থেকে পাথুরিয়া পর্যন্ত অভূতপূর্ব উন্নয়ন করেছেন।
প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী সারাদেশে আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে বলেন, একসময় বাংলাদেশের মানুষের কোনো আত্মসম্মান, আত্মমর্যাদা ছিলো না। আমরা ভিক্ষার থলি নিয়ে, সাহায্যের হাত নিয়ে পৃথিবীর দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়াতাম। আর সেই বাংলাদেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা সারা দুনিয়াকে দেখিয়ে দিয়েছেন কীভাবে নিজেদের অর্থে পদ্মা সেতু করতে হয়। সমগ্র পৃথিবীকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন তিনি।
পদ্মা সেতু নিয়ে বিএনপি প্রথম থেকেই ষড়যন্ত্র করে আসছেন উল্লেখ করে এসময় তিনি বলেন, বিএনপি বলেছিলো পদ্মা সেতু হবে না। সে সময় অনেক শান্তি পদকপ্রাপ্ত ডক্টরেরা বলেছেন পদ্মা সেতু হবে না। আমরা দেখেছি ওই কারাবন্দী খালেদা জিয়া বলেছিলেন, এই পদ্মা সেতু হলে মানুষ চলাচল করতে পারবে না ভেঙে পড়বে। নাট বল্টু লাগানো, জোড়াতালি দেয়া পদ্মা সেতু। পদ্মা সেতু যখন আমরা উদ্বোধন করলাম, এই ষড়যন্ত্রকারীরা সেই দিনই পদ্মা সেতুর রেলিংয়ের নাট বল্টু খুলে খালেদা জিয়ার কথার সত্যতা প্রমাণ করার চেষ্টা করেছে। এখন সেই পদ্মা সেতুতে শুধু গাড়ি ঘোড়াই চলছে না, রেললাইন ও উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তারা এই পদ্মা সেতু নিয়ে বিরোধিতা করেছেন কারণ দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ যেন অর্থনৈতিকভাবে উঠে আসতে না পারে। নৌকা মার্কার প্রতি তাদের যে সমর্থন সেই সমর্থিত মানুষরা যেন বাংলাদেশের মূল ভূখণ্ডের সাথে যুক্ত হতে না পারে।
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী গোসাইরহাট পট্টি নদী বন্দর চালুর উদ্দেশ্যে বলেন, শরীয়তপুরের গোসাইরহাট পট্টি নদী বন্দর চালু হলে এ জেলার মানুষের কর্মসংস্থানের পাশাপাশি যোগাযোগ ব্যবস্থায় এক অভূতপূর্ব উন্নয়ন সাধিত হবে। এছাড়াও এ অঞ্চলের মানুষের অর্থনৈতিক চাকা আরো গতিশীল হবে। এ জেলার সাথে সব ধরনের যোগাযোগ ব্যবস্থা আরো বেশি এগিয়ে যাবে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) চেয়ারম্যান কমডোর আরিফ আহমেদ মোস্তফার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, শরীয়তপুর ৩ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব নাহিম রাজ্জাক, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সমন্বয়ক আখতার হোসেন, সিনিয়র সচিব শেখ ইউসুফ হারুন, জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ নিজাম উদ্দিন আহম্মেদ, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ছাবেদুর রহমান খোকা শিকদার, পুলিশ সুপার মাহবুবুল আলম, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অনল কুমার দে প্রমুখ।