
শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের হিমঘরে ১১ মাসের অধিক সময় ধরে পড়ে আছে দুই ভারতীয় নাগরিকের মরদেহ। এতে মরদেহ দুটির ফ্রিজ মরচুয়ারি ভাড়া এসে দাঁড়িয়েছে ৯ লাখ ৭০ হাজার টাকা।
জানা গেছে, ২০২২ সালের ৮ অক্টোবর পদ্মা সেতুর জাজিরা প্রান্ত থেকে অনুপ্রবেশের অভিযোগে সতেন্দ্র কুমার (৪০) নামের এক ভারতীয় নাগরিককে আটক করে পুলিশ। পরে তাকে আদালতের মাধ্যমে শরীয়তপুর জেলা কারাগারে পাঠানো হয়। ওই কারাগারে থাকাকালীন ২০২৩ সালের ১৮ জানুয়ারি তিনি মারা যান। তার মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে হাসপাতালের হিমাগারে রাখা হয়।
অপরদিকে, ২০২২ সালের ১৭ মে পদ্মা সেতুর জাজিরা প্রান্ত থেকে অনুপ্রবেশের অভিযোগে বাবুল সিং (৩৮) নামের আরেক ভারতীয় নাগরিককে আটক করে পুলিশ। পরে তাকে আদালতের মাধ্যমে শরীয়তপুর জেলা কারাগারে পাঠানো হয়। ওই কারাগারে থাকাকালীন ২০২৩ সালের ১৫ এপ্রিল তিনি মারা যান। তার মরদেহও ময়নাতদন্ত শেষে হাসপাতালের হিমাগারে রাখা হয়।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নির্ধারিত একটি মরদেহের জন্য প্রতিদিনের ফ্রিজ মরচুয়ারি ভাড়া নির্ধারণ করা আছে ২ হাজার টাকা। সে হিসাবে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত মরদেহ দুটির হিমাগারের রাখার ভাড়া এসে দাঁড়ায় ৯ লাখ ৭০ হাজার টাকা।
হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. হাবিবুর রহমান জানান, দীর্ঘদিন হয়ে গেলেও মরদেহগুলো গ্রহণ কিংবা ফ্রিজ মরচুয়ারী ভাড়া পরিশোধ করেনি কারা কর্তৃপক্ষ। দীর্ঘদিন ধরে মরদেহগুলো এখানে পড়ে থাকায় আমাদের জরুরি প্রয়োজনে অন্য মরদেহ রাখতে সমস্যা হচ্ছে।
তিনি বলেন, আমরা মরদেহ দুটির ভাড়া পরিশোধ করতে কারা কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত চিঠি পাঠিয়েছে। এছাড়া দ্রুত মরদেহ দুটি সরিয়ে নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।
শরীয়তপুর কারাগারের জেলার (ভারপ্রাপ্ত) মুহাম্মদ আবু সাদ্দাত জানান, বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। তাদের নির্দেশনা অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বর্তমানে শরীয়তপুর জেলা কারাগারে ১৭ ভারতীয় নাগরিক বন্দি আছেন। এদের মধ্যে পুরুষ ১৪ জন ও নারী তিনজন।
শনি | রবি | সোম | মঙ্গল | বুধ | বৃহ | শুক্র |
---|---|---|---|---|---|---|
১ | ২ | ৩ | ৪ | |||
৫ | ৬ | ৭ | ৮ | ৯ | ১০ | ১১ |
১২ | ১৩ | ১৪ | ১৫ | ১৬ | ১৭ | ১৮ |
১৯ | ২০ | ২১ | ২২ | ২৩ | ২৪ | ২৫ |
২৬ | ২৭ | ২৮ | ২৯ | ৩০ | ৩১ |