
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) ও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) মিলে বাংলাদেশকে ১০৯ কোটি ডলার ঋণ দিয়েছে। এর মধ্যে আইএমএফ দিয়েছে ৬৮ কোটি ৯৮ লাখ ডলার এবং এডিবি দিয়েছে ৪০ কোটি ডলার।
আইএমএফের ঋণের দ্বিতীয় কিস্তির এ অর্থ শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকে এসেছে। এডিবির ঋণও একই দিনে এসেছে।
আইএমএফের ঋণের অর্থ রিজার্ভের ওপর চাপ কমিয়ে বিদেশি মুদ্রার ঘাটতি দূর করতে ভূমিকা রাখবে যা অর্থনীতিকে গতিশীল রাখতে কাজে দেবে বলে আশা নীতি নির্ধারকসহ অর্থনীতিবিদদের।
আইএমএফের সঙ্গে করা সমঝোতায় আর্থিক ও রাজস্ব খাতে সংস্কারের পাশাপাশি ভর্তুকি কমিয়ে জ্বালানির দাম সমন্বয়ের পথে হাঁটার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বাংলাদেশ। রয়েছে বিনিময় হার বাজারমুখী করা, ৯ শতাংশ সুদহার তুলে দেওয়া, ব্যাংক ঋণের ঝুঁকিভিত্তিক সম্পদের তথ্য প্রকাশ, রিজার্ভের হিসাব আইএমএফ স্বীকৃত পদ্ধতি বিপিএম৬ অনুযায়ী করা, মুদ্রানীতি আধুনিকায়ন করা, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে নীতি সুদহার বাড়ানোর মতো পদক্ষেপ; যেগুলোর অনেকখানি বাস্তবায়ন করেছে বাংলাদেশ।
তবে শর্তের মধ্যে থাকা সেপ্টেম্বরের মধ্যে রিজার্ভের পরিমাণ ২৪ দশমিক ৪৬ বিলিয়ন ডলারের সক্ষমতা অর্জন করা যায়নি। গত বুধবার দিন শেষে বাংলাদেশের রিজার্ভ ছিল ১৯.১৬ বিলিয়ন ডলার।
আইএমএফ গত বুধবারের বোর্ড সভায় বাংলাদেশের বিষয়ে একগুচ্ছ সুপারিশ রেখেছে। পরিচালকরা সম্মিলিতভাবে বলেছেন, আর্থিক খাতের স্বল্প ও দীর্ঘ মেয়াদী সংস্কার পদক্ষেপ অব্যাহত থাকলে, সামষ্টিক অর্থনীতির স্থিতীশীলতা পুনরুদ্ধার, বৈদেশিক চাপে সৃষ্ট ঝুঁকি মোকাবেলার সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং রিজার্ভ চলতি বছর শেষে ২৪ বিলিয়ন ডলারের উপরে থাকবে।
এজন্য আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রণ কাঠামো জোরদার, আঁটোসাট মুদ্রানীতি, বিনিময়হার বাজারমুখী করা, খেলাপি ঋণ কমিয়ে আনা ও রাজস্ব আদায় বৃদ্ধির মত পরামর্শ আবারও দিয়েছে আইএমএফ।
শনি | রবি | সোম | মঙ্গল | বুধ | বৃহ | শুক্র |
---|---|---|---|---|---|---|
১ | ২ | ৩ | ৪ | |||
৫ | ৬ | ৭ | ৮ | ৯ | ১০ | ১১ |
১২ | ১৩ | ১৪ | ১৫ | ১৬ | ১৭ | ১৮ |
১৯ | ২০ | ২১ | ২২ | ২৩ | ২৪ | ২৫ |
২৬ | ২৭ | ২৮ | ২৯ | ৩০ | ৩১ |