
পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করছে দেশটির নির্বাচন কমিশন। ঘোষিত ফলাফলে পিটিআইয়ের স্বতন্ত্ররা এগিয়ে থাকার খবর পাওয়া গেছে। ফলে পাল্টে যাচ্ছে ভোটের সব হিসাব কিতাব। খবর দ্যা ডন।
নির্বাচনের আগে ধারণা করা হচ্ছিল, অনেক বছর ধরে সেনাবাহিনীর পথের কাঁটা হয়ে থাকা মুসলিম লীগের শীর্ষ নেতা নওয়াজ শরীফ এবার ক্ষমতায় আসার জন্য সেনাবাহিনীর ওপরই নির্ভর করছেন। তবে আর্থিক কেলেঙ্কারিতে নিজের নাম জড়িয়ে বেশ কয়েক বছর স্বেচ্ছা নির্বাসনে থাকার পর দেশে ফিরে কতোটা সমর্থন পাবেন তিনি, তা নিয়ে প্রশ্ন ছিল।
এছাড়া বিগত নির্বাচনে তৃতীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করা দল পাকিস্তান পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান ৩৫ বছর বয়সী বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির সঙ্গে জোট বাঁধতে হতে পারে ৭৪ বছর বয়সী নওয়াজ বলেও খবর ছিল। তবে ভোটের ফলাফলে নতুন পরিস্থিতি সৃষ্টির আভাস দিচ্ছে দেশটির নির্বাচন।
দ্য ডন জানিয়েছে, অনানুষ্ঠানিক ফলাফলে দেখা গেছে বেশ কয়েকটি নির্বাচনী এলাকায় কারাবন্দি সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান তেহরিক-ই -ইনসাফ দলের নেতা ইমরান খান সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা এগিয়ে আছেন। পিটিআইএর ব্যারিস্টার গহর দাবি করেছেন যে দলটি ১৫০টিরও বেশি আসনে এগিয়ে রয়েছে।
দেশটির নির্বাচন কমিশন বলছে পিকে-৭৬ নির্বাচনী এলাকায় স্বতন্ত্র প্রার্থী সামিউল্লাহ খান ১৮ হাজার ৮শ ৮৮টি ভোট পেয়েছেন। অন্যদিকে পিকে-৬ নির্বাচনী এলাকায় স্বতন্ত্র প্রার্থী ফজল হাকিম খান পেয়েছেন ২৫,৩৩০ ভোট। তারা দুজনই পিটিআই সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থী
এদিকে ফলাফল ঘোষণা শুরুর পর থেকেই পাঞ্জাব প্রদেশে পাকিস্তানের তিনবারের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফের জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে পাকিস্তান তেহরিক-ই -ইনসাফ।
এর আগে বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) স্থানীয় সময় সকাল ৮টায় নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়। শেষ হয় বিকাল ৫টায়। ভোটগ্রহণ শুরু হওয়ার আগেই দেশজুড়ে মুঠোফোন সেবা সাময়িক স্থগিত রাখা হয়। বন্ধ করে দেয়া হয় ইন্টারনেট সেবাও। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, ‘নিরাপত্তা পরিস্থিতির অবনতি’ হওয়ায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
অন্যদিকে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সহিংসতার ঘটনাও ঘটেছে ইসলামাবাদে। খাইবার পাখতুনখোয়ার কুলাচি এলাকায় টহলরত পুলিশের ওপর গুলি চালানো ও বোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে। এছাড়াও ৪০ কিলোমিটার উত্তরের একটি এলাকায় নিরাপত্তা বাহিনীর গাড়ি লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করেছে বন্দুকধারীরা। এসব সহিংসতায দেশজুড়ে পাঁচ পুলিশ কর্মকর্তা সহ ৯ জন নিহত হয়েছে।
এবারের নির্বাচনে পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি), মুসলিম লীগ নওয়াজ( পিএমএল-এন)সহ বেশ কয়েকটি ছোট বড় দল অংশ নিয়েছে। তবে বিরোধী দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) ও এর নেতা সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের ওপর নজিরবিহীন দমন-পীড়নের মধ্যদিয়ে এবারের নির্বাচন হলো দেশটিতে।
শনি | রবি | সোম | মঙ্গল | বুধ | বৃহ | শুক্র |
---|---|---|---|---|---|---|
১ | ২ | ৩ | ৪ | |||
৫ | ৬ | ৭ | ৮ | ৯ | ১০ | ১১ |
১২ | ১৩ | ১৪ | ১৫ | ১৬ | ১৭ | ১৮ |
১৯ | ২০ | ২১ | ২২ | ২৩ | ২৪ | ২৫ |
২৬ | ২৭ | ২৮ | ২৯ | ৩০ | ৩১ |