Tuesday 1st July 2025
Tuesday 1st July 2025

শরীয়তপুরে জমে উঠেছে ঈদের বেচাকেনা

শরীয়তপুরে জমে উঠেছে ঈদের বেচাকেনা
শরীয়তপুরে জমে উঠেছে ঈদের বেচাকেনা

ঈদ মানেই আনন্দ, ঈদ মানেই খুশি। ঈদের সময় নতুন পোশাক থাকবে না তা কি হয়? না মোটেও নয় ধনী কিংবা গরীব সবাই তার সাধ্যমতো পবিত্র ঈদ উপলক্ষে কেনাকাটা করে নতুন পোশাক।
আর সেই ধারাবাহিকতায় পবিত্র ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে কেনাবেচা জমে উঠছে শরীয়তপুরে পোশাক এবং জুতার মার্কেটে গুলোতে। বাহারী রঙের দেশি-বিদেশি পোষাক, নানা ব্যান্ডের জুতা ও স্যান্ডেল, কসমেটিকস প্রসাধনী সাজিয়ে বসেছেন দোকানিরা।
ঈদের পোষাক, জুতা ও কসমেটিকস কেনার জন্য সব শ্রেণির মানুষ ছুটছেন দোকানে দোকানে। সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত ক্রেতাদের পদচারণায় মুখরিত থাকে শরীয়তপুর সদর উপজেলার পালং বাজারসহ সমগ্র জেলার বিভিন্ন উপজেলার বিভিন্ন বাজারের বিপণি বিতানগুলো।
সরেজমিনে শরীয়তপুর শহরের প্রাণকেন্দ্র পালং বাজারে ঘুরে দেখা যায়, ঈদের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে শরীয়তপুরে ততই কেনাবেচায় ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা। সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত শহরের প্রতিটি বিপণি বিতানে ক্রেতাদের ভিড় বাড়ছে। ছেলেদের জন্য রয়েছে বিভিন্ন নামের জিন্স প্যান্ট, শার্ট, টি-শার্ট, পাঞ্জাবী। মেয়েদের জন্য রয়েছে দেশি-বিদেশি নানা ধরনের থ্রিপিস, রেডিমেড পোশাক। বাচ্চাদের জন্য রয়েছে নানান ধরনের চোখ জুড়ানো বাহারি ডিজাইনের পোশাক। এছাড়া নারীদের দেশি ও ইন্ডিয়ান শাড়ির কদর ও কম নয়।
শরীয়তপুরের পালং বাজারে কেনাকাটা করতে আসা ক্রেতারা বলেন, এখানে বাজার দর স্বাভাবিক আছে তারা আনন্দের সাথেই কেনাকাটা করছেন। আবার কেউ কেউ পরিবারের কেনাকাটা শেষ করে এখন নিজের কেনাকাটা করছেন।
শরীয়তপুর শহরের বিভিন্ন বস্ত্র বিতানের মালিকরা বলেন, বেচাকেনা ভালোই হচ্ছে রোজার প্রথমদিকে ক্রেতার চাপ একটু কম ছিল তবে এখন ভালোই হচ্ছে এভাবে চলতে থাকলে আশা করি বেচাকেনা ভাল হবে। ঢাকা শহর শরীয়তপুর জেলার নিকটে আর এখন পদ্মা সেতু হয়ে যাওয়ায় ঢাকা যাতায়াত খুবই সহজ হয়ে গিয়েছে তাই অনেকেই ঈদের কেনাকাটা করার জন্য রাজধানীতে যাচ্ছে।