
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট অধিবেশনে ২০২৫-২০২৬ অর্থ বছরের জন্য ৬৯০ কোটি ১৭ লাখ ৪৭ হাজার টাকা বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৭ তম সিনেট সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ডঃ এ এস এম আমানুল্লাহর সভাপতিত্বে ট্রেজারার ডঃ এ টি এম জাফরুল আযম বাজেট বক্তব্য তুলে ধরেন।
এই রাজস্ব ব্যয়ের বিপরীতে প্রাক্কলিত রাজস্ব আয় ধরা হয়েছে ৫৬৫ কোটি৩৪ লাখ১৮ হাজার টাকা । ফলে ঘাটতি থাকছে ১২৪ কোটি ৮৩লাখ২৯ হাজার টাকা । প্রস্তাবিত বাজেটে সর্বোচ্চ ২৮৯কোটি ৩ লাখ টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে পরীক্ষা পরিচালনা খাতে।
শনিবার (২৮ জুন) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট হলরুমে আয়োজিত এই সিনেট অধিবেশনে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ডক্টর মোঃ মোখলেস উর রহমান, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব , বিভিন্ন শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান, বিভিন্ন কলেজের অধ্যক্ষ ও শিক্ষাবিদসহ ৭৭ জন সিনেট সদস্য এবং আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ সিনেট অধিবেশন অংশগ্রহণ করেন। অধিবেশনে
প্রো-ভিসি প্রফেসর মোঃ লুৎফর রহমান, প্রো-ভিসি ড. মোঃ নূরুল ইসলাম, সিনেট সচিব বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মোল্লা মাহফুজ আল-হোসেন উপস্থিত ছিলেন। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রমকে গতিশীল করতে নানা পদক্ষেপ গৃহীত হয়। এ সভায় দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে এসে যোগদান করেন সিন্ডিকেটের সদস্যগণ।
সিনেট সভার সভাপতি ভাইস চ্যান্সেলর ডঃ আমানুল্লাহ অভিভাষণে বলেন, আধুনিক শিক্ষা কেবল তাত্ত্বিক জ্ঞানের উপর গুরুত্ব আরোপ করে না। ব্যবহারিক, দক্ষতা, সৃজনশীলতা ও সমালোচনা মূলক চিন্তা ভাবনাকে উৎসাহিত করে। আধুনিক শিক্ষা প্রযুক্তি নির্ভর। এই শিক্ষা একবিংশ শতাব্দী চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সক্ষমতা অর্জন ও দক্ষতা বিকাশের উপর জোর দেয়। শিক্ষার্থীদের দ্রুত পরিবর্তনশীল বিশ্বে টিকে থাকাবার জন্য প্রস্তুত করা।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় মাত্র ৫৪০টি অধিভুক্ত কলেজ নিয়ে যাত্রা শুরু করে ৩২ বছরের পথ পরিক্রমায় এ বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান অধিভুক্ত কলেজের সংখ্যা ২ হাজার ২৬৮ টি। অধিভুক্ত কলেজগুলোতে বিভিন্ন কোর্সে প্রায় ৪০ লাখ শিক্ষার্থী অধ্যযন করছে। দেশের উচ্চ শিক্ষার শতকরা ৭০ ভাগ শিক্ষার্থীর শিক্ষার যাবতীয় দায়িত্ব এই বিশ্ববিদ্যালয় পালন করে থাকে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে সেগুলোর সমাধান ও সঠিক উন্নয়নের জন্য কর্মপরিকল্পনা ও কর্মসূচী হাতে নেয়া হয়েছে।