
শরীয়তপুর সদর উপজেলার চিকন্দী ইউনিয়নের পূর্ব আটপাড়া গ্রামে জমি সংক্রান্ত বিষয়ে মারামারির ঘটনায় পরিবারের নারীরা রয়েছে আতংকে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পূর্ব আটপাড়া গ্রামের সিরাজ সরদার ও রুহুল আমিন সরদারের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিলো।
এক পর্যায়ে স্থানীয় শালিসগণ বিষয়টি নিয়ে বসে এবং দু’পক্ষকে মিলিয়ে দেয়, তা মেনে নিতে পারেনি রুহুল আমিন সরদার। ২৭ এপ্রিল তিনি আবারো সিরাজ সরদারের জমিতে ঘর তুলতে গেলে তর্কবির্তক হয়। এক পর্যায়ে সিরাজ সরদারের ঘর কোপায় রুহুল আমিন সরদারের লোকজন। এ ঘটনায় চিকন্দী পুলিশ ফাড়িতে একটি জিডি করেন সিরাজ সরদার।
তারই জের ধরে ৩০ এপ্রিল আবারো দু’পক্ষের মারামারি হয় এতে দু’পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হয়। এ ঘটনায় সিরাজ সরদারসহ ৯ জনকে আসামী করে পালং মডেল থানায় মামলা দায়ের করে রুহুল আমিন সরদার।
মামলায় গ্রেপ্তারের ভয়ে সিরাজ সরদারসহ সবাই পালিয়ে বেড়াচ্ছে এই সুযোগে পূরুষ শূন্য বাড়িতে রুহুল আমিন সরদারের আত্মীয় রাজ্জাক সরদার, মামুন সরদার, সোহাগ সরদার, হৃদয় সরদার, নুরুল ইসলাম, মোর্শেদা বেগম, নাজমা রতœা বেগম সহ আরো অনেকে সিরাজ সরদারের মেয়ে শান্তনা আক্তার, ছেলের বউ শিল্পী বেগম সহ বাড়ির ছোট বাচ্চাদের গালাগালি, ইট-পাথর নিক্ষেপ ও রাতে তাদের বাড়ির আশপাশ দিয়ে ঘোরা ঘুরি ও ভয় ভীতি দেখায় এতে বাড়ির নারী ও বাচ্চারা সবসময় আতংকে থাকেন বলে জানা যায়।
সিরাজ সরদারের মেয়ে শান্তনা আক্তার বলেন, আমাদের বাড়ির পুরুষ মানুষ না থাকায় রুহুল আমিন কাকার লোকজন আমাদের সবসময় হুমকি ধমকি দেয় রাতেও আমাদের বাড়ির আশপাশে ঘোরাঘুরি করে আমাদের ভয় দেখায়। আমরা এখন ভয়ে ভয়ে দিনরাত গুলো কাটাই এভাবে কি চলা যায়।
এ বিষয়ে পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম উদ্দিন জানান, আমি এখনি চিকন্দী যাচ্ছি দেখতে, আসলে কি হয়েছে সেখানে।
শনি | রবি | সোম | মঙ্গল | বুধ | বৃহ | শুক্র |
---|---|---|---|---|---|---|
১ | ২ | ৩ | ৪ | |||
৫ | ৬ | ৭ | ৮ | ৯ | ১০ | ১১ |
১২ | ১৩ | ১৪ | ১৫ | ১৬ | ১৭ | ১৮ |
১৯ | ২০ | ২১ | ২২ | ২৩ | ২৪ | ২৫ |
২৬ | ২৭ | ২৮ | ২৯ | ৩০ | ৩১ |