Tuesday 1st July 2025
Tuesday 1st July 2025

শরীয়তপুরে রমজান মাসে দ্রব্য মূল্যর তালিকা তৈরী ও একজন ইউএনও’র সফলতা

শরীয়তপুরে রমজান মাসে দ্রব্য মূল্যর তালিকা তৈরী ও একজন ইউএনও’র সফলতা

সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও সবধরনের পন্যের মূল্য নির্ধারন করা রয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশের প্রায় বাজারগুলো মনিটরিং না করার সুযোগে নানান অজুহাতে অসাধু পাইকারী ও বাজারের খুচরা ব্যাবসায়ীরা অধিক মুনাফার লোভে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বাড়িয়ে বিক্রি করছে।
এরই মধ্যে শুরু হয়ে গেছে রমজান মাস। ধনী-গরীব সকলে চায় ১০-২০ দিনের খাদ্য পণ্যসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য ক্রয় করে রাখতে।
আর এ সময়টায় ব্যাবসায়ী সিন্ডিকেটের মাথায় থাকে কিভাবে পণ্য মূল্য বাড়ানো যায়।
তখনি নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য মূল্য সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রাখতে শরীয়তপুর জেলার ভেদরগঞ্জ উপজেলার ভেদরগঞ্জ বাজারের স্থানীয় ব্যবসায়ী ও ভোক্তাদের সমন্বয়ে গঠিত কমিটির মাধ্যমে ভেদরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাব্বির আহমেদকে সভাপতি করে ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দের সাথে একাধীকবার আলোচনা করা হয়।
আলোচনা সভায় নিত্য প্রয়োজনীয় বিভিন্ন পণ্যের সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য নির্ধারণ করেছে এবং এই মূল্য তালিকা ভেদরগঞ্জ বাজারের প্রতিটি দোকানে দৃশ্যমান স্থানে টানানো থাকবে।
০৯ মে বৃহস্পতিবারের চুড়ান্ত আলোচনায় এই সিদ্ধান্ত গ্রহন করেন ভেদরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ভেদরগঞ্জ বাজার ব্যবসায়ী সমিতির নেতৃবৃন্দরা।
যেখানে গরুর মাংসের সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে প্রতি কেজি ৫০০ টাকা। এবং বিভিন্ন প্রজাতির মুরগির মাংসের দামসহ সকল নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম নির্ধারন করা হয়েছে। এছাড়াও যেকোন পশু জবাইর পূর্বে প্রাণীসম্পদ দপ্তর কর্তৃক যাচাই করে জবাইর করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে উক্ত আলোচনা সভায়। ক্রেতাদের প্রতি যে কোনো ব্যবসায়ী অনিয়ম করলে সরাসরি ফোনে অবহিত করারও অনুরোধ জানিয়েছেন ইউএনও মহোদয়।
ভেদরগঞ্জ ও সখিপুর ২টি থানাকে ঘিরে ভেদরগঞ্জ উপজেলা পরিষদ আর এরই মধ্যে তার কর্ম দক্ষতার পরিচয় পেয়েছেন ভেদরগঞ্জ উপজেলার সাধারন মানুষ।
তার দায়িত্বকালীন সময়ের মধ্যে নিরাপদ খাবার নিশ্চিতকরণ, বাল্য বিবাহ রোধ , শিক্ষা-স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নতি, ভূমি দস্যুদের গ্রাস থেকে সরকারী সম্পদ উদ্ধার, নদী ও খালে ড্রেজার বসানো বন্ধ করা, মা ও জাটকা ইলিশ রক্ষা, জুয়ারী, মাদক ব্যাবসায়ী ও মাদকসেবী চিহ্নিত করে আইনের আওতায় নিয়ে আসা, শহর থেকে গ্রাম পর্যায়ের সরকারী স্বার্থ রক্ষা, জেলা সমাজ সেবার সেবা মান উন্নয়নসহ সবধরনের দূর্নীতি অনিয়ম নিয়ন্ত্রণের মধ্যে নিয়ে এসেছেন তিনি।
তিনি হয়তো আরো কিছুদিন সময় পেলে এই উপজেলার সব ধরনের অনিয়ম-দূর্নীতি নির্মূল করে ফেলবেন বলে ধারনা করছেন উক্ত উপজেলার সুধীজনরা।
ভেদরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে সাব্বির আহমেদ দেড় বছরের মতো সময় ধরে রয়েছেন। এই দেড় বছরে ব্যাপক সুনাম কুড়িয়েছেন তিনি। উপরস্ত কর্ম-কর্তাদের কাছেও রয়েছে তার আলাদা স্থান।
তার এই পরিকল্পিত কাজগুলোর প্রতি অত্যন্ত খুশি ভেদরগঞ্জ উপজেলার সাধারন মানুষ, তিনি তার উপজেলা প্রশাসনকে সরকারী ও জনস্বার্থ রক্ষায় ঢেলে সাজিয়েছেন নিজের মতো করে করে। এতে অখুশি নয় তার উপজেলার অন্যান্য কর্মকর্তা কর্মচারীরাও।
সদাহাস্যজ্বল এই মানুষটি নদীমাতৃক এলাকা ভেদরগঞ্জ বাসীর যেকোনো দূর্যোগেও প্রশাসনিকভাবে জনবল নিয়ে থাকেন ব্যাপক প্রস্তুতি।
তার এই নানামূখী কর্মপরিকল্পনা, দায়িত্ববোধ দেখে জেলার অন্য উপজেলাগুলোর মানুষও চায় প্রতিটি উপজেলায় ইউএনও সাব্বির আহমেদ এর মতো মানুষ।
একজন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে তার অনেক সফলতা রয়েছে আর এই সফলতা এনে দিয়েছে তার কর্ম পরিকল্পনা ও কর্ম দক্ষতা।
ভেদরগঞ্জ উপজেলার মানুষের চোখে একজন দক্ষ, সফল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সাব্বির আহমেদ। তার কাছ থেকে এই সফলতার কথা জানতে চাইলে তিনি বলেন, বাংলাদেশ সরকার আমাকে যে মহান দায়িত্ব দিয়েছে সে দায়িত্ব আমি আমার জীবন দিয়ে হলেও পালন করবো। যতো ভয়ভীতিই আসুক না কেনো আমি আমার দায়িত্ব থেকে পিছু হটবোনা। আমি ভেদরগঞ্জ উপজেলার মানুষের সহযোগিতা সবসময় কামনা করি।