Tuesday 1st July 2025
Tuesday 1st July 2025

শরীয়তপুর সদরে জোরপূর্বক জমি দখলের অভিযোগ প্রভাবশালীর বিরুদ্ধে

শরীয়তপুর সদরে জোরপূর্বক জমি দখলের অভিযোগ প্রভাবশালীর বিরুদ্ধে

শরীয়তপুর সদর উপজেলার ডোমসার ইউনিয়নের চর ডোমসার গ্রামের মোকলেছ সরদারের জমি দখল করার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় প্রভাবশালীর বিরুদ্ধে। এ ব্যাপারে জমি উদ্ধার চেয়ে বাদী মোকলেছ জেলা পুলিশ সুপার বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
স্থানীয় ও অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, শরীয়তপুর সদর ডোমসার ইউনিয়নের চর ডোমসার গ্রামের কোয়ারপুর মৌজার ৩৩নং জেএল ১৩৬১নং বিআরএস এর ৬২০৩, ৬২০১ নং খতিয়ানে পৈত্রিক ওয়ারিশ ও খরিদ সম্পত্তির মূলে ৩৭ শতাংশ জমির মালিক মৃত ছবদার আলী সরদারের ছেলে মোকলেছ সরদারগংরা। কিন্তু সেই সম্পত্তিতে খারাপ নজর পরে চর ডোমসার গ্রামের প্রভাবশালী জামাল তালুকদারের ছেলে দেলোয়ার তালুকদার, আলম তালুকদার ও জয়নাল তালুকদারদের। দেলোয়ার তালুকদারগংরা জমি দখল করে ধান ও পাট চাষ করে ভোগদখল করছে বলে অভিযোগ করেন মোকলেছ। এমতাবস্থায় জমি উদ্ধার করতে প্রশাসনের কাছে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার অনুরোধ করেছেন মোকলেছ।
বাদী মোকলেছ সরদার জানান, পৈত্রিক ওয়ারিশ ও খরিদ সম্পত্তি সূত্রে ৩৭ শতাংশ জমির মালিক আমরা। আরএস ও এসএ অনুযায়ী আমার বাবা ছবদার আলী সরদারের নামে বিআরএস রেকর্ড হয়। সেই সম্পত্তি বেদখল করে নানা ষড়যন্ত্র শুরু করে দেলোয়ার তালুকদারগংরা। পরে একাধিকবার সালিশও হয়েছে। সালিশের মাধ্যমে জমি আমাকে বুঝিয়ে দেয়। এখন দেলোয়ারগংরা জোরপূর্বক সেই জমি দখল করে ধান ও পাট চাষ করছে। আমি এর সমাধান চাই।
এ ব্যাপারে বিবাদী দেলোয়ার তালুকদার মোবাইল ফোনে বলেন, মোকলেছ সরদার জমি বেশি রেকর্ড করিয়েছে। এই জমি নিয়ে বাড়িতে তিন বার, ইউনিয়নে, থানায়, এসপি অফিস, ডিসি অফিসে একাধিক দরবার হয়েছে। সব জায়গায় প্রমান হইছে মোকলেছ সরদার বেশি জমি রেকর্ড করিয়েছে। রেকর্ড সংশোধনী মামলা করতে বলা হয়েছিল। কিন্তু সে আদালতে যাবে না। আদালতে গেলে জমি হারাবে সে জানে। কিন্তু উক্ত জমিনের মালিক আমরা।
স্থানীয় সালিশ আব্দুল জলিল সরদার ও সুমন দপ্তরী বলেন, সালিশের মাধ্যমে ৩৭ শতাংশ জমি মোকলেছ সরদাররা পেয়েছে। কিন্তু সেই জমি লোকজন নিয়ে দখল করে খাচ্ছেন দেলোয়ার তালুকদাররা।
ডোমসার ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান চাঁন মিয়া মাদবর বলেন, জমি নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছে। দুই পক্ষকে সমাধানের জন্য ডেকেছিলাম। কিন্তু তালুকদাররা এগিয়ে না আসায় সমাধান হয়নি।