
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) প্রতিনিধিদলকে আশ্বস্ত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। বুধবার (২৯ নভেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে ইসি সচিবালয়ে ইইউ প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক শেষে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আওয়াল এ তথ্য জানান।
সিইসি বলেন, “নির্ধারিত সময়ে আমরা নির্বাচন করতে সাংবিধানিকভাবে বাধ্য, ইইউ প্রতিনিধিদলকে এটি আমরা বুঝিয়েছি। সাংবিধানিক সীমাবদ্ধতা তারা বুঝতে পেরেছেন। কিন্তু কোনও রাজনৈতিক ইস্যুতে যে ইসি হস্তক্ষেপ করতে পারে না, এটাও তারা বুঝতে পেরেছেন।”
তিনি বলেন, “তারা আগেও এসেছেন, আবার এলেন। এর মধ্যে আমাদের কী কী অগ্রগতি হয়েছে, সেটা তাদের জানিয়েছি। তাদের পরিষ্কার জানিয়েছি, আমাদের নির্বাচন ফ্রি, ফেয়ার এবং পিসফুল যাতে হয়, সেটা নিশ্চিত করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।”
বৈঠকে সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বে চার নির্বাচন কমিশনারসহ ইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অংশ নেন। অন্যদিকে, ঢাকায় নিযুক্ত ইইউ রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলির নেতৃত্বে সংস্থাটির ডেপুটি হেড অব মিশন ব্রেন্ড স্পাইনার, পলিটিক্যাল অফিসার সেবাস্তিয়ান রিগার ব্রাউন, সুইডেনের অ্যাম্বাসেডর আলেকজান্ডার বার্গ ফন লিন্দ্রে, ডেনমার্কের অ্যাম্বাসেডর ক্রিস্টিয়ান ব্রিক্স মুলার, স্পেনের অ্যাম্বাসেডর ফ্রান্সিসকো ডি আসিস বেনিতেজ সালাস, ইতালির অ্যাম্বাসেডর আন্তোনিও অ্যালেসান্দ্রো, কিংডম অব নেদারল্যান্ডসের অ্যাম্বাসেডর ইরমা ফেন ডুয়েরেন, ফ্রান্সের ডেপুটি হেড অব মিশন গুইলাম অড্রেম ডে কারড্রেল ও জার্মান অ্যাম্বাসির এক প্রতিনিধি বৈঠকে অংশ নেয়।
বৈঠকে ইইউ প্রতিনিধিদল নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করে। তারা ইসিকে নির্বাচনকে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে পরিচালনার জন্য সর্বাত্মক সহযোগিতা দেওয়ার আশ্বাস দেয়।
বৈঠকে সিইসি কাজী হাবিবুল আওয়াল বলেন, “আমরা নির্বাচনকে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে পরিচালনা করতে চাই। এজন্য আমরা ইতোমধ্যে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছি। আমরা ইতিমধ্যে নির্বাচনী এলাকার সীমানা নির্ধারণ করেছি। ভোটার তালিকা হালনাগাদ করেছি। নির্বাচনী ট্রেনিং শুরু করেছি। আমরা ইতিমধ্যে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে একটি পর্যবেক্ষণ কক্ষ স্থাপন করেছি। এই কক্ষ থেকে নির্বাচনের পুরো প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণ করা হবে।”
তিনি বলেন, “আমরা ইইউর মতো আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের নির্বাচনে অংশগ্রহণে স্বাগত জানাই। তাদের পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে নির্বাচনের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত হবে।”
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ৩০ নভেম্বর, মনোনয়নপত্র বাছাই ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর, রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কমিশনে আপিল দায়ের ও নিষ্পত্তি ৫ থেকে ১৫ ডিসেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৭ ডিসেম্বর। রিটার্নিং কর্মকর্তারা প্রতীক বরাদ্দ করবেন ১৮ ডিসেম্বর। নির্বাচনি প্রচার চলবে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত। আর ভোট গ্রহণ করা হবে আগামী ৭ জানুয়ারি।
শনি | রবি | সোম | মঙ্গল | বুধ | বৃহ | শুক্র |
---|---|---|---|---|---|---|
১ | ২ | ৩ | ৪ | |||
৫ | ৬ | ৭ | ৮ | ৯ | ১০ | ১১ |
১২ | ১৩ | ১৪ | ১৫ | ১৬ | ১৭ | ১৮ |
১৯ | ২০ | ২১ | ২২ | ২৩ | ২৪ | ২৫ |
২৬ | ২৭ | ২৮ | ২৯ | ৩০ | ৩১ |