
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে প্রার্থীদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে রয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ইতোমধ্যে আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে দুই শতাধিক প্রার্থীকে শোকজ করে কারণ দর্শানোর জন্য তলব করেছে ইসি। সেই সঙ্গে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও স্বতন্ত্র অনেক হেভিওয়েট প্রার্থীকেও কারণ দর্শানোর জন্য তলব করা হয়েছে।
ইসির সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) পর্যন্ত আচরণবিধি লঙ্ঘনে ২০২ জন প্রার্থী ও তাদের সমর্থককে শোকজ করেছে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি। সেই সঙ্গে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও স্বতন্ত্র অনেক হেভিওয়েট প্রার্থীকে কারণ দর্শানোর জন্য তলব করা হয়েছে। তাদের মধ্যে কয়েকজন মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও সংসদ সদস্য রয়েছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট এলাকার নির্বাচন কর্মকর্তাদের মামলা কারারও নির্দেশ দিয়েছে ইসি।
চট্টগ্রাম-১৬ আসনের আওয়ামী লীগ প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী ও ঝিনাইদহ-১ আসনের আওয়ামী লীগ প্রার্থী আব্দুল হাইসহ আরও কয়েকজন প্রার্থীর বিরুদ্ধে মামলার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। ইসির মামলায় নরসিংদী জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আহসানুল ইসলাম রিমন ২০ দিন কারাভোগ করেছেন। এছাড়া বরগুনা-১ আসনের বর্তমান এমপি ও আওয়ামী লীগ প্রার্থী ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু, নারী ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী গাজীপুর-৫ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মেহের আফরোজ চুমকির এপিএস মো. মাজেদুল ইসলামের বিরুদ্ধে মামলার সিদ্ধান্ত অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। অনুসন্ধান কমিটির তদন্ত প্রতিবেদন ও সুপারিশের ভিত্তিতে ইসির অনুমোদনের পর সংশ্লিষ্ট জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করতে নির্বাচন কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেয়া হবে।
সাবেক নির্বাচন কমিশনার মোঃ শাহনেওয়াজ গণমাধ্যমে বলেন, নির্বাচন কমিশন দক্ষতা ও নিরপেক্ষতার সঙ্গে কাজ করে চলেছে। ভোটের ফলাফল ঘোষণা পর্যন্ত এমন কঠোর অবস্থানে থাকলে নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হতে বাধ্য। যেহেতু কমিশন বারবার নিরপেক্ষ সুষ্ঠু নির্বাচন করার আশ্বাস দিচ্ছে ও ব্যবস্থা নিচ্ছে। জনগণের উচিত হবে ভোট কেন্দ্রে যাওয়া এবং নিজেদের অধিকার অনুযায়ী ভোট দেয়ার সুযোগটা নেয়া।
নির্বাচন কমিশনার বেগম রাশেদা সুলতানা জানান, প্রার্থীদের আচরণবিধি মানাতে আরও কঠোর হচ্ছে ইসি। এরই মধ্যে অনেক প্রার্থীকে আচরণবিধি ভঙ্গের কারণে শোকজ এবং সতর্ক করা হয়েছে। আইন অমান্য করে কেউ পার পাবে না। ক্রমান্বয়ে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ইসির এ পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়ে বিশ্লেষকরা বলছেন, এটি নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য ইতিবাচক। তাদের মতে, প্রার্থীদের আচরণবিধি মানাতে ইসি কঠোর অবস্থানে থাকলে নির্বাচনে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টাকারীদের ঠেকানো সম্ভব হবে।
শনি | রবি | সোম | মঙ্গল | বুধ | বৃহ | শুক্র |
---|---|---|---|---|---|---|
১ | ২ | ৩ | ৪ | |||
৫ | ৬ | ৭ | ৮ | ৯ | ১০ | ১১ |
১২ | ১৩ | ১৪ | ১৫ | ১৬ | ১৭ | ১৮ |
১৯ | ২০ | ২১ | ২২ | ২৩ | ২৪ | ২৫ |
২৬ | ২৭ | ২৮ | ২৯ | ৩০ | ৩১ |