Tuesday 1st July 2025
Tuesday 1st July 2025

নির্বাচিত হলে ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলবো: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

নির্বাচিত হলে ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলবো: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
নির্বাচিত হলে ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলবো: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

ঢাকা, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৩: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ইশতেহার ঘোষণা অনুষ্ঠানে দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে ক্ষুধা, দরিদ্র্যমুক্ত, স্মার্ট সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে তোলার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছেন।

বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে অনুষ্ঠিত ইশতেহার ঘোষণা অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনা বলেন, “আমরা জনগণের ভোটে নির্বাচিত হলে ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে ক্ষুধা, দরিদ্র্যমুক্ত, স্মার্ট সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে তুলবো ইনশাহআল্লাহ।”

তিনি বলেন, “দ্বাদশ নির্বাচনকে সামনে রেখে আমরা আবারও আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি। অতীতের ধারাবাহিকতায় এবারও আমরা সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে একটি বাস্তবায়নযোগ্য নির্বাচনী ইশতেহার তৈরি করেছি। ২০০৮, ২০১৪ এবং ২০১৮ সালের নির্বাচনে যে ইশতেহার আমরা দিয়েছিলাম, সফলভাবে সেগুলো বাস্তবায়ন করেছি। ঘোষিত দীর্ঘমেয়াদি কর্মপরিকল্পনাগুলোর ধারাবাহিকতা দ্বাদশ নির্বাচনী ইশতেহারেও রক্ষিত হয়েছে।”

ইশতেহারে ১১টি বিষয়ে বিশেষ অগ্রাধিকার দেওয়ার কথা জানিয়েছে আওয়ামী লীগ। এর মধ্যে রয়েছে কর্মসংস্থান সৃষ্টি, দ্রব্যমূল্য সবার ক্রয়ক্ষমতায় আনা। আবারও ক্ষমতায় এলে এসব বিষয় বাস্তবায়নে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালানো হবে বলে জানিয়েছে দলটি।

ইশতেহারের প্রধান প্রধান বিষয়গুলো হলো:

* ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে ক্ষুধা, দরিদ্র্যমুক্ত, স্মার্ট সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে তোলা।
* কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে বেকারত্ব দূর করা।
* দ্রব্যমূল্য সবার ক্রয়ক্ষমতায় আনা।
* শিক্ষা, স্বাস্থ্য, গবেষণা ও প্রযুক্তি খাতে বিনিয়োগ বৃদ্ধি।
* অবকাঠামো উন্নয়ন ও যোগাযোগ ব্যবস্থাকে আধুনিকায়ন করা।
* গ্রামীণ উন্নয়ন ও দারিদ্র্য বিমোচন।
* নারীর ক্ষমতায়ন ও সমতা নিশ্চিত করা।
* পরিবেশ রক্ষা ও জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা।
* গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধাশীল একটি সুস্থ রাজনৈতিক সংস্কৃতি গড়ে তোলা।

ইশতেহার ঘোষণা অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্যগণ, সংসদ সদস্যগণ, কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ, দলের বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, সাংবাদিক ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।