Tuesday 1st July 2025
Tuesday 1st July 2025

মিয়ানমার ইস্যুতে শেখ হাসিনার সঙ্গে আলোচনা করেছেন ভারতের নিরাপত্তা উপদেষ্টা

মিয়ানমার ইস্যুতে শেখ হাসিনার সঙ্গে আলোচনা করেছেন ভারতের নিরাপত্তা উপদেষ্টা
মিয়ানমার ইস্যুতে শেখ হাসিনার সঙ্গে আলোচনা করেছেন ভারতের নিরাপত্তা উপদেষ্টা

মিয়ানমারের নিরাপত্তা পরিস্থিতির অবনতিসহ বর্তমান পরিস্থিতিতে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আলোচনা করেছেন ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা অজিত দোভাল।

মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ভারতের সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া।

প্রতিবেদনে বলা হয়, গত সপ্তাহে অঘোষিত সফরে ঢাকায় এসেছিলেন দোভাল। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পঞ্চমবারের মত ক্ষমতায় ফিরে আসার পর শেখ হাসিনার সঙ্গে অজিত দোভালই প্রথম উচ্চপদস্থ ভারতীয় কর্মকর্তা যিনি ঢাকা সফর করেন। সে সময়ই মিয়ানমার পরিস্থিতি নিয়ে শেখ হাসিনার সঙ্গে তার আলোচনা হয় বলে সূত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যমটি।

এদিকে অজিত দোভালের ঢাকা সফরের আগে এ সংক্রান্ত কোনো পূর্বঘোষণা ঢাকা বা নয়াদিল্লি- কোনো পক্ষই দেয়নি। ফলে দোভালের সফরের বিশদ বিবরণ এখনও জানা যায়নি।

অন্যদিকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে নতুন দায়িত্ব পাওয়ার পর আগামীকাল (৭ ফেব্রুয়ারি) তিনদিনের সফরে ভারতে যাচ্ছেন ড. হাসান মাহমুদ। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পাওয়ার পর এটি প্রথম কোনো দ্বিপক্ষীয় সফর তার।

প্রসঙ্গত, মিয়ানমারের পরিস্থিতি জটিল থেকে জটিলতর হচ্ছে। বাংলাদেশের সীমান্ত ঘেঁষা রাখাইন রাজ্যসহ দেশটির বিভিন্ন প্রদেশে বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে জান্তা বাহিনীর লড়াই এখন তুঙ্গে। এই সংঘাতের আঁচ মিয়ানমারের সীমান্ত ছাপিয়ে বাংলাদেশেও লাগছে গত বেশ কয়েকদিন ধরে।

পরিস্থিতি এমন একটা পর্যায়ে দাঁড়িয়েছে যে, মিয়ানমার ও বাংলাদেশের মধ্যেকার তুমব্রু ঘুমধুম সীমান্তের তিনটি স্থান দিয়ে রবিবার দুপুর থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে শুরু করে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপির সদস্যরা। মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত মোট ২২৯ জন প্রবেশের তথ্য দিয়েছে বিজিবি সদর দপ্তর।

উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি অভ্যুত্থানের মাধ্যমে গণতন্ত্রপন্থী নেত্র অং সান সু চির নেতৃত্বাধীন এনএলডি সরকারকে হটিয়ে জাতীয় ক্ষমতা দখল করে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। এরপর থেকেই বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে সংঘাত চলছে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর।

গত বছরের অক্টোবেরে উত্তর মিয়ানমারের তিন বিদ্রোহী গোষ্ঠী—মিয়ানমার ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স আর্মি (এমএনডিএএ), তা’আং ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি (টিএনএলএ) এবং আরাকান আর্মি (এএ) সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে সম্মিলিত লড়াই শুরু করে।

গত ডিসেম্বরের মাঝের দিকে মিয়ানমারের উত্তরাঞ্চলের রাখাইন প্রদেশসহ বেশিরভাগ প্রদেশের দখল নেয় বিদ্রোহীরা।