
ডাঃ মাহমুদুল হাসান ১ জুন সোমবার পপুলার লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানী লিমিটেড-এ মেডিকেল অফিসার হিসেবে যোগদান করেন। তিনি ১৯৯৩ সালে শরীয়তপুর জেলার পালং থানার আওতাধীন আটং গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন।
পপুলার লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানী লিমিটেড এর সফল এমডি ও বাংলাদেশ ইনস্যুরেন্স ফোরামে প্রেসিডেন্ট শরীয়তপুরের কৃতিসন্তান বিএম ইউসুফ আলীর সুযোগ্য পুত্র। ইনস্যুরেন্স জগতের সুযোগ্য নেতা ও কারিগর বিএম ইউসুফ আলীর সুযোগ্য পুত্র ডাঃ মাহমুদুল হাসান ইমন ছাত্র জীবনেই বাবার সামাজিক কর্মকান্ডকে ফলো করতে করতে বেড়ে ওঠেন।
লেখা পাড়ায় এস.এস.সি ও এইচ.এস.সি তে জিপিএ-৫ পেয়ে তিনি ২০১৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আওতাধীন এনাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল থেকে কৃতিত্বের সাথে এমবিবিএস পাশ করেন। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল কর্তৃক নিবন্ধিত ডাক্তার। প্রাক্তন মেডিকেল অফিসার হিসাবে ইবনে সিনা বিশেষায়িত হাসপাতালে দায়িত্ব পালন করেন এবং বর্তমানে ট্রেইনী ডাক্তার হিসাবে শহীদ সোহরওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে দায়িত্ব পালন করছেন।
তিনি তার শিক্ষা ও কর্মময় জীবনে সভা সেমিনারসহ বিভিন্ন সেবামূলক কাজে জড়িত রয়েছেন। যার মধ্যে উল্লেখ্যযোগ্য হলো- রানা প্লাজা ট্র্যাজেডি চলাকালীন সময়ে এনাম মেডিকেল কলেজে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন, জাতীয় টিবি নিয়ন্ত্রণ প্রোগ্রামে অংশ গ্রহণ করেন, স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় কর্তৃক আয়োজিত ‘বুকের দুধ খাওয়ানোর উপকারিতা, স্তন দুধের বিকল্প ও মাতৃপুষ্টির ঝুঁকি বিষয়ক প্রশিক্ষণ নেন। ব্লাড ট্রান্সফিউশন অন ওয়ার্কশপ’ এ অংশ গ্রহণ করেন। আইসিডিডিআরবির ব্যবস্থাপনায় আন্তর্জাতিক পালমোনোলজি সেমিনারে অংশগ্রহণ করেন, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজে গ্লোবাল সার্জারি গ্রুপ ‘বেসিক সার্জিক্যাল স্কিল প্রোগ্রাম’ এবং ডিবেট অ্যান্ড কুইজ সোসাইটি আয়োজিত ফাস্ট এইড সম্পর্কিত মেডিএইড কর্মশালায় অংশ গ্রহণ করেন।
৩০তম জাতীয় তথ্যপ্রযুক্তি ও বিজ্ঞান মেলায়ও ৩য় স্থান অর্জন করেন। তিনি করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) এর চিকিৎসার জন্য যুক্তরাজ্যের ‘সেন্ট জর্জ বিশ্ববিদ্যালয়’ এবং ভারতের বৃহত্তর স্বাস্থ্য সেবা সংস্থা ‘Medvarsity’ কর্তৃক আয়োজিত করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) চিকিৎসক হিসেবে প্রশিক্ষন গ্রহণ করেন। এছাড়া যুক্তরাজ্যের জনস্বাস্থ্য বিভাগ এর আওতাধীন লন্ডন স্কুল অফ হাইজিন অ্যান্ড ট্রপিকাল মেডিসিন এ প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় হতে করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) এর উপর বিভিন্ন কর্মসূচীতে অংশগ্রহনকারী হিসেবে করোনা বিষয়ে প্রশিক্ষিত।
বর্তমানে করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সময়কালে তিনি ডিজিএইচএস পরিচালিত করোনার হটলাইনে টেলিমেডিসিনে রোগীদের সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) চিকিৎসার জন্য ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন (WHO) এর ইন্সট্রাকশন মোতাবেক করোনা রোগীদের সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। তার অন্যান্য সামাজিক কার্যাবলীর মধ্যে যে সমস্ত দায়িত্ব পালন করেন তা হলো- প্রাক্তন ভাইস প্রেসিডেন্ট ইএমসি ডিবেটিং ক্লাব, প্রাক্তন ভাইস প্রেসিডেন্ট লিও ক্লাব অব ঢাকা সুগন্ধা, প্রাক্তন ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রথম আলো বন্ধু সভা ইএমসি শাখা এবং শরীয়তপুর জেলা পেশাজীবি সমন্বয় পরিষদের বর্তমান সহ-সভাপতি হিসাবেও দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি পৃথিবীর বহু দেশ ভ্রমন করেন এর মধ্যে উল্লেখ্যযোগ্য দেশসমূহ হচ্ছে- যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, সুইজারল্যান্ড, ফ্রান্স, স্পেন, ইতালী, সংযুক্ত আরব আমিরাত, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, মালদ্বীপ, ইন্দোনেশিয়া, শ্রীলংকা, থাইল্যান্ড, ভারত ইত্যাদি। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি বিবাহিত ও এক কন্যা সন্তানের জনক। স্ত্রী ডাক্তার সৈয়দা উম্মে হাবীবা পিংকী।