
শরীয়তপুরের গোসাইরহাট উপজেলায় উঠানে ধান শুকাতে দেয়াকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত দশ জন আহত হয়েছে। শনিবার ০৬ জুন সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টায় সামন্তসার ইউনিয়নের তারলিয়া গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আহতদের গোসাইরহাট উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষ গোসাইরহাট থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, তারলিয়া গ্রামের মৃত আব্দুর রশিদ শিকদারের স্ত্রী আছিয়া বেগম ও তার ছেলেরা শনিবার দুপুরে প্রতিবেশি মোশারফ উকিলের উঠানে ধান রোদে শুকাতে গেলে মোশারফ উকিল নিষেধ করেন। এ নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সন্ধ্যার পর উভয়পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে মোশারফ উকিল, মোশারফ উকিলের ছেলে মাওলানা দেলোয়ার উকিল, স্ত্রী, মেয়ে নাসরিন, ভাতিঝি চম্পা এবং অপর পক্ষের আব্দুর রশিদ শিকদারের স্ত্রী আছিয়া বেগম, ছেলে রুহুল আমিন শিকদার, রুবেল শিকদার, সোহেল শিকদার, মেয়ে হালিমা ও জান্নান আহত হন। আহতদের মধ্যে মোশারফ উকিল, দেলোয়ার উকিল, রুহুল আমিন শিকদার ও হালিমা আক্তারকে গোসাইরহাট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এদের অবস্থা গুরুতর। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।
মোশারফ উকিলের ছেলে মাওলানা দেলোয়ার উকিল বলেন, মৃত রশিদ শিকদারের স্ত্রী আছিয়া বেগম ও ছেলেরা আমাদের উঠানে ধান শুকাতে আসলে আমার বাবা তাদের নিষেধ করেন। কারণ আমাদের অনেক ধান রয়েছে যা শুকাতে দেয়া জরুরি ছিল। কিন্তু আছিয়া বেগম তা মানতে রাজি ছিলোনা। এনিয়ে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে তার ছেলে রুহুল আমিন, রুবেল ও সোহেল পরিকল্পিতভাবে লোকজন নিয়ে আমার বাবার উপর দেশীয় অস্ত্র নিয়ে অতর্তিত হামলা করে। আমরা এগিয়ে গেলে হামলাকারীরা আমাদের সবাইকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুতর জখম করে। আমরা থানায় অভিযোগ করেছি। সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে দোষিদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করছি।
রুহুল আমিন শিকদার বলেন, আমার মা আমার নানা বাড়ির উঠানে ধান শুকাতে গেলে মোশারফ উকিল আমার মায়ের সাথে দুর্ব্যবহার করে। এ নিয়ে কথা কাটাকাটি হলে মোশারফ আমার মাকে লাঞ্চিত করে। সন্ধ্যার পরে আমার ছোট ভাই রুবেল ওই বাড়ি থেকে আমাদের ধান আনতে গেলে মোশারফ তাকে মারধর করে। খবর পেয়ে আমরা এগিয়ে গেলে কিছু বুঝে ওঠার আগেই তারা আমাদের উপর হামলা করে। এতে আমরা পাঁচজন আহত হই। আমার বড় বোন হালিমার অবস্থা গুরুতর। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় আমাদের পক্ষ থেকে থানায় অভিযোগ করা হয়েছে। আমরা এ ঘটনার বিচার চাই।
গোসাইরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোল্লা সোহেব আলী বলেন, তারলিয়া গ্রামে দু’পক্ষের মধ্যে সংর্ষের ঘটনায় উভয় পক্ষ অভিযোগ দায়ের করেছে। তদন্ত চলছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।