সোমবার, ২৯শে মে, ২০২৩ ইং, ১৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ৯ই জিলক্বদ, ১৪৪৪ হিজরী
সোমবার, ২৯শে মে, ২০২৩ ইং

বাংলাদেশ বার কাউন্সিলে শিক্ষানবীশ আইনজীবীদের তালিকাভুক্তি করণ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা

বাংলাদেশ বার কাউন্সিলে সকল শিক্ষানবীশ আইনজীবীদের সরাসরি তালিকাভুক্তি করণ প্রসঙ্গে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা

দেশের সকল শিক্ষানবীশ আইনজীবীদের পক্ষে বাংলাদেশ বার কাউন্সিলে সকল শিক্ষানবীশ আইনজীবীদের সরাসরি তালিকাভুক্তি করণ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করেছে বাংলাদেশ শিক্ষানবিশ আইনজীবী পরিষদ (বিএসএপি)।

এ প্রসঙ্গে সকল শিক্ষানবিশ আইনজীবীদের পক্ষে বাংলাদেশ শিক্ষানবিশ আইনজীবী পরিষদ (বিএসএপি) মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে এক আবেদনে বলেন, বিশ্বের মহা-ক্রান্তিকালে মহামারী নোবেল করোনা ভাইরাস এর থাবায় পৃথিবী আজ মৃত্যুপুরিতে রূপ নিয়েছে। বিশ্বের সকল পেশার মানুষ আজ এই ক্রান্তিকালে সব ধরনের সুযোগ সুবিধা ভোগ করছে শুধু শিক্ষানবীশ আইনজীবীগণ ছাড়া। অনেক শিক্ষানবীশ আইনজীবী আবার মহামারি করোনার থাবায় অকালে ঝরে পড়েছে। কিন্তু আইন বিষয় নিয়ে পড়াশোনা শেষ করেও অপুরনীয় থেকে যায় আইনজীবী হওয়ার স্বপ্ন।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনি জানেন না, অনেক শিক্ষানবীশ আইনজীবী অনাহারে-অর্ধহারে দিনকাল যাপন করিতেছে কিন্তু তাদের খবর কেউ রাখেনা বা রাখার প্রয়োজনও মনে করেনা। যেহেতু এটা একটা অবৈতনিক পেশা তাই তিন দফা পরিক্ষা জাতির সাথে একটা হটকারিতা ছাড়া কিছুইনা।

অনেক শিক্ষানবীশ আইনজীবী পারছেনা তাদের বাবা মায়ের প্রত্যাশা পুরণ করতে। যখন বাবা মায়ের ঘাম ঝরানো কষ্টে অর্জন করা অর্থ ব্যয় করে ছেলে মেয়েরা আইন বিষয় পড়া শেষ করে তখন বাবার মা ভাবে কখন আমার ছেলে বা মেয়েটা আইনজীবী হয়ে দেশ ও জাতীর সেবা করবে।

এই ভাবনা করতে করতে আইন বিষয়ে পড়ুয়া অসহায় শিক্ষানবীশ আইনজীবীরা তাদের চোখের সামনে দেখে প্রিয়জন বা বাবা মায়ের মৃত্যু কিন্তু অসহায় শিক্ষানবীশ আইনজীবীরা তখনো ভাবে প্রিয়জন বাবা-মায়েরা পরপারে চলে গেল, তাদের স্বপ্ন পুরণ করতে পারলাম না। দেশ ও জাতীর কাছে বিষয়টি খুবই দুঃখজনক ও বৈসম্যমুলক। বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলোতে আইন বিষয় নিয়ে পড়াশোনা শেষ করার ৬ মাসের ভিতর আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্তি করে বা এর কার্যক্রম শেষ করে।

কিন্তু দুঃখের বিষয় বাংলাদেশে প্রতি বছর আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্তির বিধান থাকলেও একবার তালিকাভুক্তি হওয়ার পর আরো ৩/৪ বছরেও আরেকটা তালিকাভুক্তির কার্যক্রম শেষ হয় না।

এই নোবেল করোনা ভাইরাসে জর্জড়িত বিশ্বের চলমান দুর্যোগ কালীন মুহুর্তে কখন হবে তালিকাভুক্তি পরীক্ষা তার কোন নিশ্চয়তা নেই। বিধায় দেশ ও জাতীর স্বার্থে দেশে বেকারত্ব দুরকরণের লক্ষ্যে ২০২০ ইং সালে এমসিকিউ পরীক্ষায় অংশগ্রহনকারী সকল শিক্ষানবীশ আইনজীবীদের বাংলাদেশ বার কাউন্সিল কর্তৃক সরাসরি আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্তি করে আদালতে প্র্যাকটিস করার অনুমতি প্রদান করা অত্যাবশ্যক।

অতএব, জরুরী প্রজ্ঞাপন জারীর মাধ্যমে নোটিশ প্রদান করে অতিদ্রæত বাংলাদেশ বার কাউন্সিলে দেশের সকল শিক্ষানবীশ আইনজীবীদের তালিকাভুক্তকরণের বিষয়টি কার্যকর করার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে দেশের সকল শিক্ষানবীশ আইনজীবীদের পক্ষ থেকে আকুল আবেদন জানানো হয়েছে।


error: Content is protected !!