
প্রস্তাবিত ২০২০-২০২১ অর্থ বছরের বাজেটে বরাবরের ন্যায় বিািড় শিল্পের উপর বৈষম্যমূলক ট্যাক্স বৃদ্ধির প্রতিবাদে ও বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা না করে বিড়ি উৎপাদন ও বিড়ি বিক্রয় বন্ধ না করা, বিড়িতে শুল্ক বৃদ্ধি না করা ও শ্রমিকদের সপ্তাহে ৬ দিন কাজের সুযোগসহ ৭ দফা দাবিতে মানববন্ধন করেছে শরীয়তপুর বিড়ি শ্রমিকরা। শরীয়তপুর সদর উপজেলায় খুলনা-চট্টগ্রাম হাইওয়ে সড়কে রোববার দুপুর ১২ টায় এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে বক্তব্য প্রদান করেন বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিকে ফেডারেশন শরীয়তপুর জেলা শাখার সভাপতি আব্দুল আজিজ ও সাধারন সম্পাদক বিপুল হোসেন প্রমুখ। মানববন্ধনে ২০০ শতাধিক বিড়ি শ্রমিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
এসময় বক্তারা বলেন, সিগারেটেরে চেয়ে বিড়ির দাম প্রস্তাবিত বাজাটে শতকরা ২৩.১৬ টাকা বৃদ্ধি করা হয়েছে। এটা বিড়ি শিল্পের প্রতি চরম বৈষম্য মূলক আচারণ করা হয়েছে। বিদেশী সিগারেট কোম্পানীকে সুবিধা দিতেই এ বৈষম্য করা হয়েছে। যা দেশীয় শিল্পের সাথে বিমাতাসূলব আচারণ ছাড়া কিছুই না। দীর্ঘদিন ধরে বিড়ি শিল্প ধ্বংস করার জন্য যে গভীর ষরযন্ত্র ছিল প্রস্তাবিত বাজাটে তা প্রতিফলিত হয়েছে। সরকারের কাছে আমাদের দাবি বিড়ির উপরে ট্যাক্স কমিয়ে আমাদের শিল্পকে বাচিয়ে রাখুন, যাতে করে আমরা আমাদের পরিবার পরিজন নিয়ে বেঁচে থাকতে পারি।
বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারশনের সাধারন সম্পাদক বিপুল হোসেন বলেন, আমার সংসার চলে বিড়ি বাধাই করে, আমি সরকারের কাছে বিশেষ দাবি জানাই এ অর্থ বছরে প্রস্তাবিত বিড়ির উপর যে ট্যাক্স বাড়ানো হয়েছে এটা আমাদের শিল্পের উপর বৈষম্য সৃষ্টি করা হয়েছে। যদি প্রস্তাবিত ট্যাক্স বাস্তবায়ন হয় এ শিল্পটি ধ্বংস হয়ে যাবো, তখন আমরা বেকার হয়ে যাবো।মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনি ট্যাক্স বাড়িয়ে আমাদের পেটে লাথি দিয়েন না।
বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারশনের সভাপতি আব্দুল আজিজ বলেন, বিড়ি শিল্প এশিল্পটি প্রাচীন শ্রমঘন কুটির শিল্প। এই শিল্পের হাত ধরেই আজ দেশে বহু শিল্প গোষ্ঠীর সৃষ্টি হয়েছে। এই বিড়ি শিল্প যেমন বাংলাদেশের জাতীয় অর্থনীতিকে সচল রাখতে অগ্রগণ্য ভূমিকা পালন করেছে তেমনি কর্মসংস্থান করেছে স্বামী পরিত্যক্তা নারী, নদী ভাংগন কবলিত এলাকার লক্ষ লক্ষ হত দরিদ্র শ্রমিকের। মহান মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর হাত ধরেই এ শিল্পটি চালু হয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রী যদি প্রস্তাবিত ট্যাক্স বাস্তবায়ন হয় এ শিল্পটি ধ্বংস হয়ে যাবো, তখন আমরা বেকার হয়ে যাবো। আপনাদের কাছে আমার অনুরোধ এ বৈষম্য প্রস্তাবিত বিড়ির উপরে বাড়ানো ট্যাক্স বাস্তবায়ন করিয়েন না। যদি এ প্রস্তাবিত ট্যাক্স বাস্তবায়ন করেন, তাহলে বিড়ি ফ্যাক্টরি সংখ্যা কমে যাবে। করোনা প্রস্তাবিততে বেকার হয়ে পড়বে লক্ষ লক্ষ বিড়ি শ্রমিক। যার শ্রমিকরা করোনায় আক্রান্ত না হয়ে অনহারেই মৃত্যুও দিকে ধাবিত হবে। এছাড়াও নকল বিড়ি বিক্রয় বৃদ্ধি পাবে। সরকার রাজস্ব হারাবে।