
সৎ চিন্তা আর প্রকৃতির প্রতি ভালবাসা থাকায় ওসি শরীফ আহমেদ এর সৃজনশীলতায় বদলে গেছে শরীয়তপুরের ডামুড্যা থানার চিত্র। পুলিশের আচরণ যেমন পাল্টেছে, তেমন থানার চিত্রও বদলেছে। এতে আগের তুলনায় থানায় সেবার মানও বেড়েছে। বিভিন্ন স্থাপনার সৌন্দর্য বৃদ্ধি ও দৃষ্টিনন্দন গড়তে এবং সহজেই মানুষকে সেবা দিতে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে ডামুড্যা থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শরীফ আহমেদ।
থানার আইন-শৃঙ্খলা পরিবেশ দেখভালের পাশাপাশি মানবিক দিক বিবেচনায় সহকর্মী পুলিশ সদস্যদের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন তিনি।
সহকর্মী পুলিশ সদস্যদের মাঝে “নিবেদিত প্রাণ” কর্মকর্তা হিসেবে খ্যাতি পেয়েছেন (ওসি) শরীফ আহমেদ। এ বছরের জুন মাসে যোগদানের পর থেকে থানার আইন-শৃঙ্খলা পরিবেশ দেখভালের পাশাপাশি সহকর্মী পুলিশ সদস্যদের জন্য তিনি কাজ করে যাচ্ছেন নিরলসভাবে।
দায়িত্ব নিয়েই থানার সব পুলিশ সদস্যদের সমানভাবে দায়িত্ববণ্টন করে দিয়েছেন তিনি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক থানার একাধিক পুলিশ সদস্য জানিয়েছেন, এর আগে ডামুড্যা থানার কোনো ওসি ফোর্সদের উল্লেখযোগ্য কোনো কাজ করেননি।
পুলিশ সদস্যদের ভাষ্য, কিন্তু শরীফ আহমেদ স্যার আসার পর থেকে পুলিশ সদস্যদের এসব দুর্ভোগ লাঘবের জন্য পদক্ষেপ নিয়েছেন। ব্যবস্থা করেছেন খেলাধুলার। শীত মৌসুমের রাতে ব্যাডমিন্টন খেলার জন্য থানা কমপ্লেক্সে ব্যাডমিন্টন ইয়ার্ড তৈরি করে দিয়েছেন। ব্যক্তি হিসেবেও শরীফ আহমেদ পরিচিত সদালাপী ও মিষ্টভাষী হিসেবে। কখনোই নিম্নপদস্থ কাউকে গালিগালাজ করেন না। তার আচরণ ও কাজকর্মে আধুনিক পুলিশের ছোঁয়া পরিলক্ষিত হয়। সহকর্মীরা তার আচরণে সন্তুষ্ট এবং কৃতজ্ঞ।
তবে এসব মানবিক দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে ওসি শরীফ আহমেদ ভুলে যাননি পেশাগত দায়িত্বের কথা। এলাকার বিভিন্ন বেআইনি কর্মকাণ্ড বন্ধে তিনি সজাগ। মানবিক দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি যে কোনো অপরাধ দমন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখা ও সরকারি নির্দেশনা বাস্তবায়নে সর্বদা প্রস্তুত তিনি। পুলিশ শাসক নয়, শোষক নয়; পুলিশ জনগণের সেবক। এই মন্ত্রে উজ্জীবিত এখন পুরো ডামুড্যা থানার পুলিশের সকল সদস্য। তাই হ্রাস পেয়েছে পুলিশ কর্তৃক মানুষের হয়রানি।
ন্যায় বিচারের মূলে পুলিশের নিরপেক্ষতা এবং সততা। এর সাথে জড়িয়ে রয়েছে দেশের অন্যতম একটি বাহিনীর ভাবমুর্তি। একমাত্র এ বাহিনীটিকেই জনসাধারণের সংস্পর্শে যেতে হয়, পেশাদারিত্বের স্বার্থে। তাই অনেক সময় বিভিন্ন কারনে বা অকারনে লোভ ও লালসার বশবর্তী হয়ে পড়েন কিছু সদস্য। এসব বিষয় বিবেচনায় রেখেই সাহসী কিছু উদ্যোগ নিয়েছেন (ওসি) শরীফ আহমেদ। সকল শক্তি অপশক্তিকে উপেক্ষা করে মেধা, যোগ্যতা ও স্বচ্ছতার ভিত্তিতে কনস্টেবলদের প্রতিশ্রুতি পূরণে প্রেরণাদীপ্ত পারঙ্গমতা প্রদর্শনে সফল হয়েছেন তিনি।
অফিসার ইনচার্জ শরীফ আহমেদ যোগদান এর পর থেকেই তাঁর কাজের সাফল্য ধারাবাহিকতা-সাফল্য স্বাক্ষী হয়ে থাকবে ডামুড্যা”র ইতিহাসে। ইতিমধ্যে তিনি সাধারণ মানুষের পাশাপাশি জয় করে নিয়েছেন অভিভাবক মহলেরও মন। গোটা ডামুড্যা উপজেলার সকল এলাকার যুবসমাজ যখন মাদকের ছোবলে ধ্বংশের দ্বারপ্রান্তে তখন মাদকের বিরুদ্ধে রীতিমতো যুদ্ধ ঘোষণা করে দিয়েছেন তিনি।
এ বিষয়ে অফিসার ইনচার্জ শরীফ আহমেদ বলেন, কোনো চাওয়া-পাওয়ার জন্য নয়, পেশাগত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি ভালোলাগার জায়গা থেকে কাজগুলো শুরু করেছি। পুলিশ সদস্যরা সারারাত ডিউটি করে ভাল পরিবেশে থাকতে না পেরে মনোকষ্টে ভোগেন। আমি পরিচ্ছন্নতা ও শৃংখলাকে ভালোবাসি। নিজেও পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন থাকতে পছন্দ করি তাই ফোর্সদেরকেও এসবের আওতায় আনতে চাই।
তিনি আরও বলেন, আমি ডামুড্যা থানার ওসি হয়ে এসেছি আপনাদের সেবা করতে, আমি সর্বদাই চেষ্টা করে যাচ্ছি জনগণ যাতে থানায় সুষ্ঠ বিচার পায়। আমি দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে অপরাধীদের কোন ছাড় নেই সে যতই শক্তিশালী হোক না কেন। আইন যে দেশের সকল জনগনের জন্য সমান সে ব্যাপারে মানুষকে উৎসাহিত করি। ডামুড্যা”র জনগনের পুলিশের প্রতি হারানো আস্থা ফিরে আসতে ও ন্যায় বিচার পেতে সর্বদাই কাজ করে যাচ্ছি।