
শরীয়তপুর উপজেলা প্রাণীসম্পদ কার্যালয়ে ভ্যাটেনারী ডাক্তার সহ মাঠ কর্মির অভাব। তার পরেও থেমে নেই সেবা।
এখানে সব ধরনের ভ্যাটেনারী চিকিৎসা দেয়া হলেও ডাক্তার সহ রয়েছে বিভিন্ন সংঙ্কট।
মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) সদর উপজেলা প্রাণীসম্পদ কার্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, ভবন সংস্কার কাজ চলছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মচারী বলেন, বেশী বছরের ভবন না এটা। এখন কি অবস্থা দেখেন। প্লাস্টার খসে পড়ছে। তাই পুনরায় মেরামত কাজ চলছে।
এরই মধ্যে সদর উপজেলার বেশ কিছু মহিলা পুরুষ চিকিৎসা করাতে ছাগল নিয়ে এসেছে।
সেবা পেতে আসা পালং ইউনিয়নের আটি পাড়া থেকে আসা আমির হোসেন (৬০) বলেন, আমি এখানে ছাগল নিয়ে এসেছি। কুকুরে কামড়িয়েছে। আমাদের এখানে চিকিৎসা নিতে বাড়তি কোন টাকা দেয়া লাগে না।
ছাগলে ঘাষও খায় না, পানিও খায় না। পশ্রাবও করেনা, পায়খানাও করেনা। এমন একটি অসুস্থ ছাগল নিয়ে এসেছে ডোমসার ইউনিয়নের নাজমা। তিনি জানান, এখানে চিকিৎসা নিতে কোন সমস্যা হয় না। বাড়তি কিছু লাগেনা।
নড়িয়া নশাসন থেকে খলিল মুন্সী তিনি ছাগলের বাচ্চা নিয়ে এসেছেন তোলানোর জন্য (খাসি বানাবে)। এখানে তিনি ভালো সেবা পাচ্ছেন। কোন প্রকার বাড়তি টাকা লাগে না।
ধানুকা গ্রামের দুলাল মাদবর ছগলের কৃমি হয়েছে তাই তিনি পশু হাসপাতালে এসেছেন, তিনিও বলেন এখানে সেবা পেতে কোন সমস্যা নেই। খুশি হয়ে যা দেই তাই রাখে।
পশু সেবা নিতে আসা তুলাসর ইউনিয়নের আবু কালাম ফকির জানান, তার ৫ টা ছাগল ও ২ টা গরু আছে। তিনি গরু ছাগলের কিছু হলে চলে আসেন পশু হাসপাতালে। এখানে এসে গরু-ছাগলের চিকিৎসা করান। এখানে কোন ভোগান্তি পোহাতে হয় না।
উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ তরুণ কুমার রায় বলেন, পর্যাপ্ত ঔষুধ সংঙ্কট। ভ্যাটেনারী ডাক্তার নেই ৩ মাস যাবৎ। অফিস সহকারী নাই। ২ জন মাঠ কর্মীর পদ শূন্য। ভ্যাটেনারী কম্পাউন্ডার মো. আলী হায়দার তিনি ২ বছর মেয়াদী প্রশিক্ষণে আছে। কৃত্তিম প্রজনন সহকারী সুমিত শাহ। সেও ২ বছর মেয়াদী ডিপ্লোমা কোর্সে আলমডাঙ্গা আছে।
এদের কাজ করছে, ভ্যাটেনারী কম্পাউন্ডার সাইদুর রহমান। তিনি কৃত্তিম প্রজনন কাজও সে করছে।
গরু বীজ এখনো সব ইউনিয়নে দেয়া হয় না। সদর উপজেলার ৮ টি ইউনিয়নে দেয়া হয়। এগুলো আংগারিয়া, রুদ্রকর, শৌলপাড়া, চন্দ্রপুর, বিনোদপুর ও তুলাসার ইউনিয়ন।
এ বিষয়ে জেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা সুবোধ কুমার দাস বলেন, ঔষুধ সরবারাহ সীমিত। ভিটামিন, এন্টিবায়োটিক ও হরমন এগুলো কম আসে। কৃমির ঔষুধ পর্যাপ্ত না হলেও মোটামুটি দেয়া যায়। মাঠ কর্মী বিপুল ভাবে সংঙ্কট। ৪ উপজেলায় কোন ভ্যাটেনারী সার্জন নাই। যেখানে ২২ জনের দরকার। যেখানে এক-একটা ইউনিয়নে ২ জন মাঠ কর্মি দরকার। সেখানে কোথাও একজন কোথাও দুই জন আছে। উপজেলায় ৩ জন মাঠ কর্মির পদ আছে, লোক নাই। উপজেলার কোথাও ১ টি, কোথাও ২টি মোটরসাইকেল দেয়া আছে। কিন্তু ফিল্ড কর্মীদের জন্য যানবাহন নাই। এগুলো বিভিন্ন প্রজেক্টের মাধ্যমে গাড়ি আাসে। প্রজেক্ট চলে গেলে এগুলো সংরক্ষনের সুযোগ নেই। নিজ অর্থে ঠিক রাখতে হবে। উঠান বৈঠকের নির্ধারণ থাকে কিন্তু কোন বরাদ্দ নেই। প্রশিক্ষণের কোন নিদিষ্ট করা নাই। এসব প্রজেক্টের মাধ্যমে আসে।
গরুর বীজ দেয়ার জন্য এআইটি’র মাধ্যমে নিয়োগ দেয়া হয়। এদের প্রতিমাসে ৫’শ টাকা সম্মানী দেয়া হয়। তারা ইউনিয়নে কাজ করে। কেউ যদি ইউনিয়ন পরিষদে গবাদিপশু নিয়ে আসে তাহলে বীজের মূল্য ৩০ টাকা। আর পারিশ্রমিক ৪০ টাকা নেয়া হয়।
শনি | রবি | সোম | মঙ্গল | বুধ | বৃহ | শুক্র |
---|---|---|---|---|---|---|
১ | ২ | ৩ | ৪ | |||
৫ | ৬ | ৭ | ৮ | ৯ | ১০ | ১১ |
১২ | ১৩ | ১৪ | ১৫ | ১৬ | ১৭ | ১৮ |
১৯ | ২০ | ২১ | ২২ | ২৩ | ২৪ | ২৫ |
২৬ | ২৭ | ২৮ | ২৯ | ৩০ | ৩১ |