
ডেঙ্গু রোগ প্রতিরোধে ১০০ শয্যা বিশিষ্ট শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা বিশেষ অভিযান শুরু হয়েছে। বুধবার (৩১ জুলাই) সকাল সাড়ে ৯টায় হাসপাতাল প্রাঙ্গনে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম আনুষ্ঠানিক ভাবে উদ্বোধন করেন সিভিল সার্জন ডা. মো. খলিলুর রহমান। এ সময় সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. শেখ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ, আরএমও (ভারপ্রাপ্ত) ডা. সুমন কুমার পোদ্দার, অর্থোপেডিক্স চিকিৎসক ডা. বাদশা মিয়া, ডা. আকরাম এলাহী সহ হাসপাতালের অন্যান্য চিকিৎসক, কর্মচারী ও সেবিকারা উপস্থিত ছিলেন। পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম উদ্বোধন শেষে ডেঙ্গু প্রতিরোধে হাসপাতালে আগত রোগীদের নিয়ে সচেতনতামূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বক্তব্য রাখেন সিভিল সার্জন ডা. মো. খলিলুর রহমান ও হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. শেখ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ।
এ বিষয়ে সিভিল সার্জন ডা. মো. খলিলুর রহমান বলেন, বর্তমানে ডেঙ্গু রোগের ভয়াবহতা দেখা দিয়েছে। ইতিমধ্যে প্রায় ৬০টি জেলাতে ছড়িয়ে গেছে। আমাদের জেলাতে ডেঙ্গু রোগী সনাক্ত করেছি। ডেঙ্গু প্রতিরোধে সবচেয়ে বড় উপায় হলো পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা ও মশার উৎপাদন ব্যহত করা। যে জন্য আমাদের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে নির্দেশনা আসছে, আমাদের যার যার অফিস আদালত ও বাড়ির আঙ্গিনা পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে এবং স্বচ্ছ পানি যেন একাধারে তিন দিন না থাকে। এডিস মশার উৎপাদন যদি আমরা ব্যহত করতে পারি তাহলেই ডেঙ্গু আমাদের নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হবে। যে সকল ডেঙ্গু রোগী আমাদের হাসপাতালে আসবে তাদের চিকিৎসার জন্য আমাদের সুব্যবস্থা রয়েছে। আমাদের পরীক্ষা নিরীক্ষার ব্যবস্থা আছে। ডেঙ্গু নিয়ে কেউ আতংকিত হবেন না। আজকে থেকে আমাদের হাসপাতালের আঙ্গিনা আনুষ্ঠানিকভাবে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা অভিযান শুরু করলাম। এটা আমাদের চলমান কার্যক্রম। প্রতিদিন এই পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম চলবে।
সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. শেখ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ বলেন, ডেঙ্গু পরিরোধে আমরা বিভিন্ন কার্যক্রম হাতে নিয়েছি। এরই অংশ হিসেবে আজকে বিশেষ পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম শুরু করেছি। এটা চলমান থাকবে। ডেঙ্গু প্রতিরোধে হাসপাতালে হেল্পডেস্ক স্থাপন করেছি। এখানে সার্বক্ষনিক আমাদের স্বাস্থ্যকর্মী থাকবেন এবং তারা হাসপাতালে আগত রোগীদের ডেঙ্গু বিষয়ে কাউন্সেলিং করবেন। তাছাড়া ডেঙ্গু রোগীর চিকিৎসার জন্য আমরা আইসোলুশন ওয়ার্ড স্থাপন করেছি। সেখানে পর্যাপ্ত সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করেছি। হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগীর চিকিৎসার সব ধরণের অষুধ আমরা প্রস্তুত রেখেছি। শুধু তাই নয়, পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্য বিশেষ ব্যবস্থায় কিট সংগ্রহ করেছি। হাসপাতালে রোগী আসলে কোন সমস্যায় পড়বে না। এ ব্যাপারে আমরা সচেতন আছি। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ইতিমধ্যে স্বাস্থ্য বিভাগে কর্মরত সকল চিকিৎসক ও কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করেছেন। ডেঙ্গু প্রতিরোধে সম্মিলিত ভাবে আমরা কার্যক্রম চালিয়ে যাবো। আমি আশা করছি ঢাকার মতো শরীয়তপুরে ডেঙ্গু মহামারী আকার ধারণ করবে না।
শনি | রবি | সোম | মঙ্গল | বুধ | বৃহ | শুক্র |
---|---|---|---|---|---|---|
১ | ২ | ৩ | ৪ | |||
৫ | ৬ | ৭ | ৮ | ৯ | ১০ | ১১ |
১২ | ১৩ | ১৪ | ১৫ | ১৬ | ১৭ | ১৮ |
১৯ | ২০ | ২১ | ২২ | ২৩ | ২৪ | ২৫ |
২৬ | ২৭ | ২৮ | ২৯ | ৩০ | ৩১ |