
শরীয়তপুর সরকারী কলেজ সংলগ্ন প্রধান সড়কের পাশে দীর্ঘদিন যাবত পৌরসভার ময়লা আবর্জনা ডাম্পিং করা হচ্ছে। এর দূর্গন্ধে নষ্ট হচ্ছে এলাকার পরিবেশ। ওই ডাম্পিং এর দূর্গন্ধে কলেজের শিক্ষক শিক্ষার্থী, এলাকাবাসী এবং সড়ক দিয়ে যাতায়াতকারী জনসাধারণ অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। ওখান থেকে পৌরসভার ময়লার ডাম্পিং প্লেসটি সরিয়ে নেয়ার জন্য এলাকাবাসী সহ সচেতন মহল দাবি করে আসছেন। সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাহাবুর রহমান শেখ যোগদানের পর থেকেই ওই ডাম্পিং প্লেসটি সরিয়ে নেয়ার জন্য পৌর মেয়রের কাছে ও বিভিন্ন আলোচনা সভায় বলে আসছেন। কিন্তু কিছুতেই ওখান থেকে পৌরসভার ময়লার ডাম্পিং সরানো যাচ্ছিল না। অবশেষে জেলা প্রশাসক কাজী আবু তাহের জনসাধারণের দূর্ভোগের কথা বিবেচনা করে ডাম্পিং প্লেসটি সরিয়ে নেয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করেন। সরকারী খাস জমি পৌরসভার ময়লার ডাম্পিং প্লেস নির্মানের জন্য দেওয়ার ঘোষণা দেন জেলা প্রশাসক। এ ব্যাপারে তিনি পৌরসভার মেয়র রফিকুল ইসলাম কোতোয়াল ও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাহাবুর রহমান শেখের সাথে আলোচনা করেন। পরে সিদ্ধান্ত নেয়া হয় ডাম্পিং প্লেসটি কলেজ সংলগ্ন মেইন সড়কের পাশ থেকে সরিয়ে দূরে কোথাও স্থায়ী ভাবে স্থাপন করা হবে। তারই অংশ হিসেবে জেলা প্রশাসক কাজী আবু তাহের, পৌর মেয়র রফিকুল ইসলাম কোতোয়াল ও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহাবুর রহমান শেখ ইতোমধ্যে সম্ভাব্য কয়েকটি স্থান পরিদর্শন করেন। সোমবার (১৯ আগষ্ট) তারা পৌরসভার পূর্ব কোটাপাড়া কীর্তিনাশা নদীর পাড়ে সম্ভাব্য একটি জায়গা পরিদর্শনে যান। জেলা প্রশাসক কাজী আবু তাহের সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে সরকারী খাস জমি বের করার জন্য নির্দেশ দেন। যাচাই বাছাই শেষে যেখানে ডাম্পিং প্লেসটি স্থাপন করলে জনসাধারণের কোন ক্ষতি হবে না এবং দীর্ঘস্থায়ী হবে সেখানেই স্থায়ীভাবে ময়লার ডাম্পিং প্লেসটি নির্মাণ করার জন্য মত দেন জেলা প্রশাসক।
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাহাবুর রহমান শেখ বলেন, শরীয়তপুর সরকারী কলেজ সংলগ্ন মেইন সড়কের পাশে একটি গুরুত্বপূর্ন স্থানে পৌরসভার ময়লার ডাম্পিং এটা মেনে নেয়া যায় না। এতে পরিবেশ নষ্ট সহ জনসাধারনকে চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। ঈদের সময় এ নিয়ে ঝামেলাও হয়েছে। আমি যোগদান করার পর থেকেই বলে আসছি ডাম্পিং প্লেসটি সরিয়ে বিকল্প কোথায় নেয়ার জন্য। অবশেষে জেলা প্রশাসক স্যার ডাম্পিং প্লেসটি সরিয়ে নেয়ার জন্য নিজে উদ্যোগ গ্রহন করেন। তারই অংশ হিসেবে ডিসি স্যার পৌর মেয়র ও আমাকে নিয়ে সম্ভাব্য কয়েটি জায়গা পরিদর্শন করেছেন। যেখানে করলে জনসাধারণের কোন ক্ষতি হবে না এবং দীর্ঘস্থায়ী হবে সেখানেই ডাম্পিং প্লেসটি করার জন্য ডিসি স্যার মত দিয়েছেন। ডাম্পিং প্লেসটি সরিয়ে নেয়া হলে জনসাধারণ দূর্ভোগ থেকে মুক্তি পাবে।
শনি | রবি | সোম | মঙ্গল | বুধ | বৃহ | শুক্র |
---|---|---|---|---|---|---|
১ | ২ | ৩ | ৪ | |||
৫ | ৬ | ৭ | ৮ | ৯ | ১০ | ১১ |
১২ | ১৩ | ১৪ | ১৫ | ১৬ | ১৭ | ১৮ |
১৯ | ২০ | ২১ | ২২ | ২৩ | ২৪ | ২৫ |
২৬ | ২৭ | ২৮ | ২৯ | ৩০ | ৩১ |