
শরীয়তপুর জেলা পুলিশের মাস্টার প্যারেড অনুষ্ঠিত হয়। রোববার (২৫ আগষ্ট) জেলা পুলিশ লাইন্সে এই মাষ্টার প্যারেড অনুষ্ঠিত হয়। মাস্টার প্যারেডে সালাম গ্রহন করেন শরীয়তপুরের পুলিশ সুপার আব্দুল মোমেন, পিপিএম। মাস্টার প্যারেড চলাকালীন পুলিশ সুপার আব্দুল মোমেন কুচকাওয়াজ, পুলিশ ব্যারাক, পুলিশ লাইন্স মেস, রেশন ষ্টোর,যানবাহন শাখা ও পুলিশ লাইন্সের বিভিন্ন শাখা পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনকালে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) আল মামুন শিকদার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (নড়িয়া সার্কেল) কামরুল হাসান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গোসাইরহাট সার্কেল) মোহাইমিনুল ইসলাম, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (ভেদরগঞ্জ সার্কেল) কল্লোল কুমার দত্ত সহ পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ। প্যারেড কমান্ডার ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) তানভীর হায়দার এবং উপস্থিত বিভিন্ন থানার অফিসার ইনচার্জ, ইন্সপেক্টর ও পুলিশ বিভাগের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী উপস্থিত থেকে পরিদর্শনে সহযোগিতা করেন।
শরীয়তপুরের মুক্তিযোদ্ধা সংগঠনের জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা
(ছবি-৩)
রুদ্রবার্তা প্রতিবেদক ॥ ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস ও বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা করেছে শরীয়তপুরের বীরমুক্তিযোদ্ধারা। রবিবার (২৫ আগস্ট) দুপুর ১২টার দিকে শরীয়তপুর পোস্ট অফিস সংলগ্ন একটি অস্থায়ী মুক্তিযোদ্ধা কার্যালয় এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন সাবেক জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বীরমুক্তিযোদ্ধা মো. আব্দুল জলিল হাওলাদার। তিনি বক্তব্যে বলেন, আগস্ট মাস বাঙালির শোকের মাস। ১৫ আগস্টের কালো রাতে জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করা হলেও তার আদর্শকে হত্যা করা যায়নি। কারণ বঙ্গবন্ধু একটি ইতিহাস, একটি স্বাধীন বাংলাদেশ ও একটি স্বাধীন জাতিসত্ত্বা। বঙ্গবন্ধু জন্মগ্রহণ করেছিলেন বলেই বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের জন্ম হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর ডাকে আমরা মুক্তিযোদ্ধারা বাংলাদেশকে স্বাধীন করার জন্য যুদ্ধ করেছি। এজন্যই বিশ্বে শেখ মুজিবের দেশ হিসেবে বাংলাদেশ পরিচিতি পেয়েছে। বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে বিশ্বনেতা হতেন। তাইতো দেশীয়-আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারকে হত্যা করা হয়েছিল। পাকিস্তানি দোসর ঘাতকের দল মনে করেছিল জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করে তার নাম চিহ্ন মুছে দেবে। কিন্তু পারেনি। কারণ স্বাধীনতায় বিশ্বাসী বাংলাদেশের প্রত্যেকটি মানুষের ভেতর বঙ্গবন্ধু ও স্বাধীনতার চেতনা রয়েছে। এই চেতনায় দেশ এগিয়ে চলছে। পাকিস্তানি দোসর বিএনপি-জামায়াত যতই ষড়যন্ত্র করুক না কেন, আওয়ামী লীগের উন্নয়নকে দাবিয়ে রাখতে পারবে না। বঙ্গবন্ধুর পলাতক খুনিদের দেশে এনে রায় চুড়ান্ত করার প্রক্রিয়া এগিয়ে চলছে।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে পূর্ণগঠিত করে একটি উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে গড়ে তুলে আমাদের উপহার দিচ্ছেন।
আরও বক্তব্য রাখেন, বীরমুক্তিযোদ্ধা হাফিজউদ্দিন পেদা, বীরমুক্তিযোদ্ধা শওকত আলী খান, বীরমুক্তিযোদ্ধা বাতেন হাওলাদার,
বীরমুক্তিযোদ্ধা আমির হোসেন খান, বীরমুক্তিযোদ্ধা আজাহার হোসেন খান, বীরমুক্তিযোদ্ধা আদেল উদ্দিন মাস্টার, বীরমুক্তিযোদ্ধা মোতাহার হোসেন দেওয়ান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বীরমুক্তিযোদ্ধা রশিদ মাস্টার, নুরল ইসলাম হাওলাদার, সামচুল হক চৌধুরী, আবুল কালাম সরদার, আবুল কাশেম মোল্যা প্রমূখ।