
শরীয়তপুর ওলামা পরিষদ সদর থানা শাখার উদ্যোগে এছলাহী মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। সোমবার ৩০ সেপ্টেম্বর শরীয়তপুর শিল্পকলা মাঠে বিকেল সাড়ে ৪ টা থেকে রাত ১১ টা পর্যন্ত এ এছলাহী মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
এ এছলাহী মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে ওয়াজ করেন, আল্লামা মুফতি মুস্তাকুন্নবী কাসেমী (দা.বা.)।
বিশেষ মেহমান হিসেবে বক্তব্য রাখেন, শরীয়তপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্য মোঃ ইকবাল হোসেন অপু ও শরীয়তপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র ও বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের শরীয়তপুর জেলা শাখার সাবেক সভাপতি আব্দুর রব মুন্সী।
শরীয়তপুর সদর থানা ওলামা পরিষদের সভাপতি মাওলানা মাহদী হাসান সিরাজীর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে ওয়াজ করেন, হযরত মাওলানা হাছান জামিল (দা.বা.), হযরত মাওলানা আ: কাদের, হযরত মাওলানা সাইদুল ইসলাম আসাদ, শরীয়তপুর ওলামা পরিষদের সহ-সভাপতি মাওলানা আবু বকর।
এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন, শরীয়তপুর ওলামা পরিষদের সভাপতি মাওলানা শফিউল্লাহ, সেক্রেটারী মাওলানা ইদ্রিস কাসেমী, মাওলানা ছগির হোসেন ও মাওলানা আব্দুল্লাহ আল মাহমুদসহ সদরথানার বিভিন্ন মাদ্রাসা ও মসজিদের খতিব, ইমাম ও মুসুল্লীগণ।
এছলাহী মাহফিলে ওয়াজ করতে গিয়ে বক্তারা ইসলামের পাচটি স্তম্ভ যেমন- আখেরাতের পাচটি ঘাটি পাড়াপাড় হতে কালেমা, নামাজ, রোজা, যাকাত ও হজ্জ নিয়ে আলোচনা করেন ও বিভিন্ন উদাহরণ পেশ করেন এবং তাবলীগের অভ্যন্তরীণ কিছু বিষয় নিয়েও আলোচনা করা হয়।
মেহমান হিসেবে বক্তব্য রাখতে গিয়ে ইকবাল হোসেন অপু বলেন, আমি মুসলমান এবং আমি বাঙ্গালী। বঙ্গবন্ধুও নিজে একটি ভাষনে এ কথাই বলেছিলেন। আমি নিজে কোরআন শরীফ বহুবার ক্ষতম করেছি। ইসলামের প্রতি আমার দুর্বলতা আছে। আমার প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনাও ইসলামকে অনেক ভালোবাসেন। যার জ্বলন্ত প্রমাণ আপনাদের কওমী মাদ্রাসার সনদ স্বীকৃতি দেয়া। এছাড়া সকলের উদ্দেশ্য করে জানান, বঙ্গবন্ধু টঙ্গী ইজতেমা জায়গা দিয়েছেন, কাকরাইল মসজিদ করেছেন ও ইসলামের যাবতীয় কল্যাণের জন্য ইসলামিক ফাউন্ডেশন করেছেন।