
সকল অনিয়মই নিয়মে পরিণত হয়েছে সদর উপজেলার চর নিয়মতপুর ৮৫ নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে, এমন অভিযোগর ভিত্তিতে বুধবার সকালে বিদ্যালয়টি পরিদর্শণ করা হয়। পরিদর্শণকালে অভিযোগের সত্যতা মিলেছে। সকাল ৯টা থেকে বিদ্যালয়ে দেখা যায় অফিস কক্ষসহ সকল শ্রেনীকক্ষ তালাবদ্ধ। সকাল সোয়া ৯টার পরে দায়িত্বরত সহকারি শিক্ষা অফিসার হামিদুল হককে বিষয়টি অবগত করা হয়। সাড়ে ৯টার পরে তাড়াহুরা করে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফেরদৌসী আক্তার বিদ্যালয়ে এসে শ্রেনীকক্ষ ও অফিস কক্ষ খোলেন এবং জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। পৌনে ১০টার পরে আসেন সহকারি ও ন্যাশনাল সার্ভিসে নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকগণ। এ নিয়মেই চলছে ৮৫ নং চর নিয়ামতপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
এলাকাবাসী ও বিদ্যালয় মাঠে নির্মানাধীন ভবনের শ্রমিকরা জানায়, বিদ্যালয়টি নিয়মিত সাড়ে ৯টা থেকে ১০টার মধ্যে খোলা হয়। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকও এই অনিয়মের কথা স্বীকার করে বলেন, আমি প্রধান শিক্ষক। অফিসের কাজে জেলা শহরে যেতে হয়। এছাড়াও অনেক দায়িত্ব পালন করতে হয়। সহকারি শিক্ষকদের সাথে ফোনে কথা বলি। তারা জানায় স্কুলের কাছাকাছি আছি। অনেক সময় বলে গাড়ি না পাওয়ায় দেরি হয়েছে। অনেক সময় ৯টায়ও স্কুল খোলা হয়। মফস্বল স্কুলের কোন শিক্ষকই ৯টায় স্কুল খুলতে পারবে না।
বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক আসমা ও বিলকিছ আক্তার বলেন, আমরা আংগারিয়া থেকে আসি। আজ গাড়ির জন্য দেরি হয়েছে। অন্যান্য দিন ৯টার মধ্যেই আসি।
এ বিষয়ে উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার হামিদুল হক বলেন, সকাল ৯টার মধ্যে সকল শিক্ষককে বিদ্যালয়ে থাকতে হবে। কেন সাড়ে ৯টায়ও বিদ্যালয় খোলা হয়নি খতিয়ে দেখা হবে।
শনি | রবি | সোম | মঙ্গল | বুধ | বৃহ | শুক্র |
---|---|---|---|---|---|---|
১ | ২ | ৩ | ৪ | |||
৫ | ৬ | ৭ | ৮ | ৯ | ১০ | ১১ |
১২ | ১৩ | ১৪ | ১৫ | ১৬ | ১৭ | ১৮ |
১৯ | ২০ | ২১ | ২২ | ২৩ | ২৪ | ২৫ |
২৬ | ২৭ | ২৮ | ২৯ | ৩০ | ৩১ |