
শরীয়তপুর সদরের ডোমসার ইউনিয়নে মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতিস্তম্ভ ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন, ইউনিয়ন পরিষদ পুকুরঘাট ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন ও আইন শৃঙ্খলা বিষয়ক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) বিকেল ৪ টার দিকে ডোমসার ইউনিয়ন পরিষদের আয়োজনে ইউনিয়ন পরিষদ সভাকক্ষে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, শরীয়তপুর সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব আবুল হাসেম তপাদার।
প্রধান অতিথি বলেন, যারা মুক্তিযোদ্ধা ও স্বাধীনতা পক্ষের লোক তারা যেন স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবসসহ বিভিন্ন দিবস পালন করতে পারে, তার জন্য ডোমসার ইউনিয়নের পাশে মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতিস্তম্ভ স্থাপন হচ্ছে। যখন মুক্তিযোদ্ধারা থাকবে না, তখন তাদের পরের প্রজন্ম মুক্তিযোদ্ধা সন্তানেরা বিভিন্ন দিবস পালন করবে এখানে। মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতিস্তম্ভ ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের উদ্যোগ নেয়ায় ডোমসার ইউনিয়নের চেয়ারম্যান চাঁন মিয়া মাদবরের প্রশংসা করেন তিনি। তিনি বলেন, চেয়ারম্যান যে উদ্যোগ নিয়েছেন এটা নিঃসন্দেহে ভালো কাজ।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্যই বাংলাদেশ পেয়েছি। আর বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারণে দেশ উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।
ডোমসার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. চাঁন মিয়া মাদবরের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) জিনিয়া জিন্নাত, পালং মডেল থানা পুলিশের (ইন্সপেক্টর অপারেশন) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (দায়িত্বপ্রাপ্ত) মো. আশরাফুল ইসলাম, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, শরীয়তপুর জেলার সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা হাবিবুর রহমান মাদবর ও তুলাসার ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম জাহিদ ফকির।
এ সময় ডোমসার ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান-১ আমির হোসেন সিকদার, প্যানেল চেয়ারম্যান-২ আব্দুল মতিন ছৈয়াল, সমাজ সেবক মিজান মোহাম্মদ খানসহ মুক্তিযোদ্ধা ও ইউনিয়ন পরিষদের সকল মেম্বারগণ উপস্থিত ছিলেন।
সভায় অন্যান্য অতিথিরা বলেন, শরীয়তপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য ইকবাল হোসেন অপু মাদক ও সন্ত্রাসীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন। তাই সকলে মিলে মাদক ও সন্ত্রাস নির্মুল করতে হবে। বঙ্গবন্ধুর নের্তৃত্বে মুক্তিযোদ্ধারা বাংলাদেশ স্বাধীন করেছেন। তাই মুক্তিযোদ্ধাদের অবদান ভোলার মত নয়। তাই ডোমসার ইউনিয়নের মত প্রতিটি ইউনিয়নে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্ভ তৈরি করা উচিৎ।
সভার শুরুতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ যারা মুক্তিযোদ্ধে শহীদ হয়েছেন তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় বিশেষ মুনাজাত করা হয়। পরে তাদের স্মরণে উপস্থিত সকলে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করেন।